০২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার কাছে কৌশলগত পরাজয়ের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:২৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২
  • / ১৩৫২ বার পড়া হয়েছে

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একশো দিন কেটে গেছে। ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি থেকে শুরু করে ভোজ্যতেল সবকিছুর দাম বাড়ছে। ইউক্রেনের প্রায় 6.9 মিলিয়ন মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে এবং অন্যত্র আশ্রয় চেয়েছে। রাশিয়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কিয়েভ দখলের হুমকি দিয়েছে। কিন্তু রাশিয়া কিয়েভ দখল করতে পারেনি। পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে রাশিয়া কিয়েভ দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। কিন্তু সর্বশেষ যুদ্ধ পরিস্থিতির বিশ্লেষণে দেখা যায় যে রাশিয়া কিয়েভ দখল করেনি, সে কারণেই কিয়েভ দখল করেনি। কিয়েভ দখল করার কোনো পরিকল্পনা ছিল বলে মনে হয় না। আসলে পশ্চিমারা রাশিয়ার ফাঁদে পা দিয়েছে।

আমরা ইউক্রেনের যুদ্ধ সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য পাই। একদিকে পশ্চিমারা দাবি করছে, এই যুদ্ধে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইউক্রেনীয়রা মার্কিন সরবরাহকৃত স্ট্রিংগার মিসাইল দিয়ে রাশিয়ার আর্টিলারি এবং বিমান বাহিনীকে পঙ্গু করে দিয়েছে। হাজার হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। নিহতদের তালিকায় শীর্ষ কয়েকজন জেনারেলও রয়েছেন। কিন্তু এটা উদ্বেগজনক যে এত ক্ষয়ক্ষতি ও প্রতিরোধের মুখে রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের 20 শতাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে। রুশ বাহিনী লুহানস্ক, ডোনেটস্ক, মারিউপোল এবং খেরসন নিয়ন্ত্রণ করেছে। যদিও পশ্চিমারা প্রতিদিন কমবেশি হতাহতের খবর দেয়, ইউক্রেনীয়রা তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ডকে রাশিয়ার দখল থেকে রক্ষা করতে পারেনি।

কোনো পক্ষই প্রকাশ্যে যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু 100 দিনের যুদ্ধ শেষে রাশিয়া স্পষ্টতই এগিয়ে। রাশিয়া ইউক্রেনের সার্বভৌম ভূখণ্ড দখল করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছেন। আমরা যদি এই 100 দিনের যুদ্ধ কৌশলটি বিশ্লেষণ করি তবে আমরা দেখতে পাব যে ইউক্রেন সহ পশ্চিমারা রাশিয়ার যুদ্ধ কৌশল থেকে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর আগেই বিভ্রান্ত হয়েছে। রাশিয়া প্রথম সফলভাবে কিয়েভ দখলের জন্য অভিযান চালায় এবং সে অনুযায়ী সামরিক প্রস্তুতি নেয়। সবার মনোযোগ ছিল কিয়েভের দিকে। এদিকে ধীরে ধীরে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল দখল করে নিয়েছে। রাশিয়ান বাহিনী এখন ওডেসা বন্দরের কাছে খেরসন এলাকায় চলে গেছে।

প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার থেকে শুরু করে নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট পর্যন্ত বড় বড় সাংবাদিক ও বিশেষজ্ঞরা সমঝোতার পক্ষে কলাম লিখছেন। আমরা যদি এখনই আলোচনা শুরু করি, অন্তত ওডেসা বন্দর রক্ষা করা যাবে। ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরে অন্তত একটি প্রবেশ পথ খোলা থাকবে। মূলত এই ধারণা থেকেই যুক্তরাষ্ট্র তার সফট পাওয়ার অর্থাৎ বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহার করতে চায়।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সম্ভবত তখনই শেষ হবে যদি রাশিয়া ওডেসা বন্দর এবং এর পরিবেশ দখল করতে পারে। কারণ, মারিউপোল থেকে ওডেসা বন্দর পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকা রাশিয়া দখল করলে ইউক্রেন স্থলবেষ্টিত দেশে পরিণত হবে। ফলে কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের আর কোনো দখল থাকবে না। এক্ষেত্রে ইউক্রেন ন্যাটোর কাছে তার গুরুত্ব হারাবে। ইউক্রেনে ন্যাটোর যোগদানের মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন প্রভাব বাড়ানো। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী পোল্যান্ড এবং বাল্টিক রাজ্যগুলিও ন্যাটোর সদস্য। কিন্তু রাশিয়া বরাবরই এসব দেশের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও তাদের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেয়নি। যদিও সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে, রাশিয়া মৌখিকভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং নিজেকে কূটনৈতিক আচরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কৃষ্ণ সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় রাশিয়ার প্রভাব।

রাশিয়ার বিশ্ব সামুদ্রিক বাণিজ্যে প্রবেশের জন্য কালো সাগর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জলপথ। উত্তর মহাসাগরে আর্কটিক নৌপথ সম্পর্কে অনেক কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জমাট বরফ ঠেলে সমুদ্রপথ বজায় রাখা একটি ব্যয়বহুল এবং কঠিন কাজ। সেই পথ চীন ও জাপানের মধ্য দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে বাণিজ্য বাড়াবে। কিন্তু পশ্চিম আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ও সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য কৃষ্ণ সাগর বরাবরই রাশিয়ার কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই সাগর রাশিয়ার সামুদ্রিক বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র। রাশিয়া নভোরোসিস্ক বন্দর দিয়ে দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ করে। এদিকে মধ্য এশিয়ার দেশগুলো এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকে। রাশিয়া এই অংশকে পুরোপুরি মার্কিন নিয়ন্ত্রণে যেতে দেবে না।

এখন প্রশ্ন হতে পারে, রাশিয়া সব উপকূলীয় এলাকা দখল করে ল্যান্ডলকড দেশে পরিণত করার পরও ইউক্রেন কি ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে? সেখানে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ইউরোপের ন্যাটো দেশগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের সামরিক অস্ত্রও মোতায়েন করেছে। কিন্তু এসব অস্ত্র ব্যবহারের ভয় খুবই কম। অন্যদিকে, রাশিয়া তাদের ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে। তাই রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনে ল্যান্ডলক স্থাপনের ঝুঁকি কমানোর একটি উপায় রয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার কাছে কৃষ্ণ সাগরকে রক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

কৃষ্ণ সাগর সম্পর্কে রাশিয়ার সতর্কতা মধ্যযুগের। রাশিয়া বরাবরই কৃষ্ণ সাগরকে ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের জায়গা হিসেবে বিবেচনা করে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার কাছে কৌশলগত পরাজয়ের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ১১:২৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একশো দিন কেটে গেছে। ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি থেকে শুরু করে ভোজ্যতেল সবকিছুর দাম বাড়ছে। ইউক্রেনের প্রায় 6.9 মিলিয়ন মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে এবং অন্যত্র আশ্রয় চেয়েছে। রাশিয়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কিয়েভ দখলের হুমকি দিয়েছে। কিন্তু রাশিয়া কিয়েভ দখল করতে পারেনি। পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে রাশিয়া কিয়েভ দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। কিন্তু সর্বশেষ যুদ্ধ পরিস্থিতির বিশ্লেষণে দেখা যায় যে রাশিয়া কিয়েভ দখল করেনি, সে কারণেই কিয়েভ দখল করেনি। কিয়েভ দখল করার কোনো পরিকল্পনা ছিল বলে মনে হয় না। আসলে পশ্চিমারা রাশিয়ার ফাঁদে পা দিয়েছে।

আমরা ইউক্রেনের যুদ্ধ সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য পাই। একদিকে পশ্চিমারা দাবি করছে, এই যুদ্ধে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইউক্রেনীয়রা মার্কিন সরবরাহকৃত স্ট্রিংগার মিসাইল দিয়ে রাশিয়ার আর্টিলারি এবং বিমান বাহিনীকে পঙ্গু করে দিয়েছে। হাজার হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। নিহতদের তালিকায় শীর্ষ কয়েকজন জেনারেলও রয়েছেন। কিন্তু এটা উদ্বেগজনক যে এত ক্ষয়ক্ষতি ও প্রতিরোধের মুখে রাশিয়ান বাহিনী ইউক্রেনের 20 শতাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে। রুশ বাহিনী লুহানস্ক, ডোনেটস্ক, মারিউপোল এবং খেরসন নিয়ন্ত্রণ করেছে। যদিও পশ্চিমারা প্রতিদিন কমবেশি হতাহতের খবর দেয়, ইউক্রেনীয়রা তাদের সার্বভৌম ভূখণ্ডকে রাশিয়ার দখল থেকে রক্ষা করতে পারেনি।

কোনো পক্ষই প্রকাশ্যে যুদ্ধে পরাজয় স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু 100 দিনের যুদ্ধ শেষে রাশিয়া স্পষ্টতই এগিয়ে। রাশিয়া ইউক্রেনের সার্বভৌম ভূখণ্ড দখল করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছেন। আমরা যদি এই 100 দিনের যুদ্ধ কৌশলটি বিশ্লেষণ করি তবে আমরা দেখতে পাব যে ইউক্রেন সহ পশ্চিমারা রাশিয়ার যুদ্ধ কৌশল থেকে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর আগেই বিভ্রান্ত হয়েছে। রাশিয়া প্রথম সফলভাবে কিয়েভ দখলের জন্য অভিযান চালায় এবং সে অনুযায়ী সামরিক প্রস্তুতি নেয়। সবার মনোযোগ ছিল কিয়েভের দিকে। এদিকে ধীরে ধীরে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চল দখল করে নিয়েছে। রাশিয়ান বাহিনী এখন ওডেসা বন্দরের কাছে খেরসন এলাকায় চলে গেছে।

প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার থেকে শুরু করে নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট পর্যন্ত বড় বড় সাংবাদিক ও বিশেষজ্ঞরা সমঝোতার পক্ষে কলাম লিখছেন। আমরা যদি এখনই আলোচনা শুরু করি, অন্তত ওডেসা বন্দর রক্ষা করা যাবে। ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরে অন্তত একটি প্রবেশ পথ খোলা থাকবে। মূলত এই ধারণা থেকেই যুক্তরাষ্ট্র তার সফট পাওয়ার অর্থাৎ বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহার করতে চায়।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সম্ভবত তখনই শেষ হবে যদি রাশিয়া ওডেসা বন্দর এবং এর পরিবেশ দখল করতে পারে। কারণ, মারিউপোল থেকে ওডেসা বন্দর পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকা রাশিয়া দখল করলে ইউক্রেন স্থলবেষ্টিত দেশে পরিণত হবে। ফলে কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের আর কোনো দখল থাকবে না। এক্ষেত্রে ইউক্রেন ন্যাটোর কাছে তার গুরুত্ব হারাবে। ইউক্রেনে ন্যাটোর যোগদানের মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন প্রভাব বাড়ানো। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী পোল্যান্ড এবং বাল্টিক রাজ্যগুলিও ন্যাটোর সদস্য। কিন্তু রাশিয়া বরাবরই এসব দেশের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও তাদের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেয়নি। যদিও সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে, রাশিয়া মৌখিকভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং নিজেকে কূটনৈতিক আচরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ করেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কৃষ্ণ সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় রাশিয়ার প্রভাব।

রাশিয়ার বিশ্ব সামুদ্রিক বাণিজ্যে প্রবেশের জন্য কালো সাগর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জলপথ। উত্তর মহাসাগরে আর্কটিক নৌপথ সম্পর্কে অনেক কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জমাট বরফ ঠেলে সমুদ্রপথ বজায় রাখা একটি ব্যয়বহুল এবং কঠিন কাজ। সেই পথ চীন ও জাপানের মধ্য দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে বাণিজ্য বাড়াবে। কিন্তু পশ্চিম আফ্রিকা ও এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ও সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য কৃষ্ণ সাগর বরাবরই রাশিয়ার কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এই সাগর রাশিয়ার সামুদ্রিক বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র। রাশিয়া নভোরোসিস্ক বন্দর দিয়ে দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ করে। এদিকে মধ্য এশিয়ার দেশগুলো এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করে থাকে। রাশিয়া এই অংশকে পুরোপুরি মার্কিন নিয়ন্ত্রণে যেতে দেবে না।

এখন প্রশ্ন হতে পারে, রাশিয়া সব উপকূলীয় এলাকা দখল করে ল্যান্ডলকড দেশে পরিণত করার পরও ইউক্রেন কি ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে? সেখানে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ইউরোপের ন্যাটো দেশগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের সামরিক অস্ত্রও মোতায়েন করেছে। কিন্তু এসব অস্ত্র ব্যবহারের ভয় খুবই কম। অন্যদিকে, রাশিয়া তাদের ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে। তাই রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনে ল্যান্ডলক স্থাপনের ঝুঁকি কমানোর একটি উপায় রয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার কাছে কৃষ্ণ সাগরকে রক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।

কৃষ্ণ সাগর সম্পর্কে রাশিয়ার সতর্কতা মধ্যযুগের। রাশিয়া বরাবরই কৃষ্ণ সাগরকে ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের জায়গা হিসেবে বিবেচনা করে আসছে।