১২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

নেত্রকোনায় সাংবাদিককে মামলায় জড়ানোর হুমকি ইউএনওর

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ৮৭৩ বার পড়া হয়েছে

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় স্থানীয় এক সাংবাদিককে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে। গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ইউএনওর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

যে সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া হয়েছে তিনি হলেন দৈনিক সংবাদের কেন্দুয়া উপজেলা প্রতিনিধি ও ইংরেজি অবজারভার হুমায়ুন কবির। তিনি কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সদস্য।

হুমায়ুন কবির জানান, গত শনিবার সকালে উপজেলার বালাইশিমুল খেলার মাঠে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মাণাধীন প্রধানমন্ত্রীর উপহার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। ওইদিন বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউএনও। এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউএনওর ১১ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের ভাষণের ভিডিও রেকর্ড করেন হুমায়ুন কবির। পরে সে ভিডিওটি তার ফেসবুকে পোস্ট করেন। সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে বসেছিলেন হুমায়ুন কবির। এ সময় ইউএনও তাকে ফোন করে জানতে চান কেন তিনি (ইউএনও) ফেসবুকে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। উপহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হুমায়ুনকে আসামি করার হুমকি দেন তিনি। গত রাত থেকে ইউএনও ও হুমায়ুনের কথোপকথনের ১ মিনিট ২ সেকেন্ডের ভাষণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

হুমায়ুন কবির বলেন, ইউএনও আমাকে ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, আমি কি আপনাকে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বক্তব্য দিয়েছিলাম? প্রেস ব্রিফিংয়ে যা দিয়েছি, নিউজ করো।” তারপর বললাম, সাংবাদিক হয়ে ফেসবুকে দিতে পারব না? তিনি জবাব দেন, ‘আপনি আপত্তি করলে, আজকের মামলায় আপনাকে দিতে বাধ্য হব।’

জানতে চাইলে ইউএনও মাহমুদা বেগম বলেন, “সাংবাদিক হুমায়ুন শুরু থেকেই এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এসব স্ট্যাটাসের কমেন্টে অশালীন কথা লেখা হয়েছে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার বিরুদ্ধে আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা উচিত ছিল।বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়।ফেসবুকেও তিনি তা প্রচার করেন।জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ প্রথম আলো</em>কে বলেন, বিষয়টি শুনে ড. ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং ইউএনওকে সতর্ক করা হয়েছে। তার এমন কথা বলা উচিত হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা, ইউএনও কার্যালয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, বলাইশিমুল গ্রামের ১ একর ৮৭ শতক সরকারি জমিতে রয়েছে ১০০ বছরের পুরনো একটি খেলার মাঠ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশারিয়ান প্রকল্প-২ এর আওতায় গৃহহীনদের জন্য ২৩টি ঘর ও মাঠের পাশে জমি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। এ জন্য মাঠের ৪৬ শতকের সাইট ক্লাস পরিবর্তন করে ‘কান্দা’ করা হয়। তবে শুরু থেকেই মাঠ রক্ষায় স্থানীয় লোকজন মিছিল করে মানববন্ধন করে আসছিল। এছাড়া গত ৩০ মে স্থানীয় হাবিবুর রহমান মন্ডলসহ আট বাদী বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। এরপর ২ জুন রাতের আঁধারে নির্মাণাধীন দুটি বাড়ির রাজমিস্ত্রি ভেঙে ফেলে

নিউজটি শেয়ার করুন

নেত্রকোনায় সাংবাদিককে মামলায় জড়ানোর হুমকি ইউএনওর

আপডেট সময় ০৪:৪৬:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় স্থানীয় এক সাংবাদিককে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগমের বিরুদ্ধে। গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ইউএনওর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

যে সাংবাদিককে হুমকি দেওয়া হয়েছে তিনি হলেন দৈনিক সংবাদের কেন্দুয়া উপজেলা প্রতিনিধি ও ইংরেজি অবজারভার হুমায়ুন কবির। তিনি কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সদস্য।

হুমায়ুন কবির জানান, গত শনিবার সকালে উপজেলার বালাইশিমুল খেলার মাঠে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মাণাধীন প্রধানমন্ত্রীর উপহার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। ওইদিন বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ইউএনও। এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ইউএনওর ১১ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের ভাষণের ভিডিও রেকর্ড করেন হুমায়ুন কবির। পরে সে ভিডিওটি তার ফেসবুকে পোস্ট করেন। সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবে বসেছিলেন হুমায়ুন কবির। এ সময় ইউএনও তাকে ফোন করে জানতে চান কেন তিনি (ইউএনও) ফেসবুকে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। উপহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হুমায়ুনকে আসামি করার হুমকি দেন তিনি। গত রাত থেকে ইউএনও ও হুমায়ুনের কথোপকথনের ১ মিনিট ২ সেকেন্ডের ভাষণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

হুমায়ুন কবির বলেন, ইউএনও আমাকে ক্ষোভের সঙ্গে বললেন, আমি কি আপনাকে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বক্তব্য দিয়েছিলাম? প্রেস ব্রিফিংয়ে যা দিয়েছি, নিউজ করো।” তারপর বললাম, সাংবাদিক হয়ে ফেসবুকে দিতে পারব না? তিনি জবাব দেন, ‘আপনি আপত্তি করলে, আজকের মামলায় আপনাকে দিতে বাধ্য হব।’

জানতে চাইলে ইউএনও মাহমুদা বেগম বলেন, “সাংবাদিক হুমায়ুন শুরু থেকেই এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এসব স্ট্যাটাসের কমেন্টে অশালীন কথা লেখা হয়েছে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার বিরুদ্ধে আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা উচিত ছিল।বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়।ফেসবুকেও তিনি তা প্রচার করেন।জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ প্রথম আলো</em>কে বলেন, বিষয়টি শুনে ড. ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং ইউএনওকে সতর্ক করা হয়েছে। তার এমন কথা বলা উচিত হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা, ইউএনও কার্যালয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, বলাইশিমুল গ্রামের ১ একর ৮৭ শতক সরকারি জমিতে রয়েছে ১০০ বছরের পুরনো একটি খেলার মাঠ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশারিয়ান প্রকল্প-২ এর আওতায় গৃহহীনদের জন্য ২৩টি ঘর ও মাঠের পাশে জমি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। এ জন্য মাঠের ৪৬ শতকের সাইট ক্লাস পরিবর্তন করে ‘কান্দা’ করা হয়। তবে শুরু থেকেই মাঠ রক্ষায় স্থানীয় লোকজন মিছিল করে মানববন্ধন করে আসছিল। এছাড়া গত ৩০ মে স্থানীয় হাবিবুর রহমান মন্ডলসহ আট বাদী বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। এরপর ২ জুন রাতের আঁধারে নির্মাণাধীন দুটি বাড়ির রাজমিস্ত্রি ভেঙে ফেলে