০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

সিলেটে আবারও বন্যা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:১৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
  • / ১২৮৯ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

শঙ্করের বার্তা আগে থেকেই ছিল। বন্যা সত্যিই সেই আতঙ্ক আবারও আঘাত করেছে সিলেটে। এক মাসও হয়নি। আগাম বন্যার কবল থেকে সিলেটের মানুষ মুক্তি পেয়েছে। তবে বন্যার ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি বন্যার্তরা। সিলেটে আবারো দেখা দিয়েছে বন্যা। গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে আসা বর্ষণে ইতোমধ্যে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও সদর উপজেলার অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফার বন্যায় ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, খাড়া ঢল ও টানা বর্ষণে সিলেট সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বাড়িঘর-রাস্তা, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ। ঢল ও টানা বর্ষণে সিলেটের সুরমা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে আবারও বন্যা শুরু হয়েছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে অনেক গ্রামের। স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বুধবার সকালেও বেশ কয়েকটি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে যেখানে হাঁটু পর্যন্ত পানি, সেখানে কোমরের মতো পানি। ঘরে পানি ঢুকলে গবাদিপশু কোথায় রাখবেন তা নিয়েও অনেক গৃহকর্তা চিন্তিত। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ, স্কুলশিশু ও ব্যবসায়ী।

উপজেলার খাদিমনগর, খাদিমপাড়া, টুকেরবাজার, জালালাবাদ, মুঘলগাঁও, কান্দিগাঁও ও হাটখোলা ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন হাট-বাজার, মসজিদ, স্কুল-মাদ্রাসা ও ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি। ঘরে ঘরে পানি প্রবেশ করায় মানুষের মনেও দেখা দিয়েছে সাপের আতঙ্ক। খাদিমনগর ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ সহ বেশ কিছু এলাকার বাড়িঘর, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্কুল, মসজিদ, রাস্তা, মাঠ ও বীজতলা তলিয়ে গেছে।

খাদিমপাড়া মুরাদপুর, সোনাপুর, মীরের চক, নয়া মসজিদ, মুক্তির চক, ধানকান্দি, পাচঘড়ি, কল্লোগ্রামের একাংশ, ইসলামাবাদ, বালুটিকর, বংশীধর, পালিয়া, দেওয়ানের চক, মাজারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে।

টুকেরবাজার, সাহেবেরগাঁও, চারুগাঁও, শেখ পাড়া, ওয়ার্ড হায়দারপুর, পীরপুর, শাহপুর, ওয়ার্ড টুকেরগাঁও, গারিপুর, শাহপুর, ওয়ার্ড নোয়াগাঁও, ওয়ার্ড শাহপুর তালুকদার পাড়া, নওয়াপাড়া, মইয়ারচর, খুরুম খালাও। মুঘলগাঁও ইউনিয়নের প্রায় সব ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে।

কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ঘোপাল, জাঙ্গাইল, মিরপুর, গোবিন্দপুর, মীরের গাও, চামাউরকান্দি, নীলগাঁও, নলকোট। জালালাবাদ ইউনিয়ন, হাটখোলা ইউনিয়ন পানি সরবরাহ।

সদর উপজেলা নলকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক জানান, বিদ্যালয়ে পানি উঠে যাওয়ায় শিশুদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে।

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আজমেরী হক জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। আমাদের মনিটরিং সেল থেকে সেসব এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ বলেন, আমি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শুকনো খাবার সরবরাহ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে

এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সঙ্গে সব ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নিম্নাঞ্চলের ৯০ শতাংশ মানুষ জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। এ উপজেলার সদর, পূর্ব ও পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং, পূর্ব ও পশ্চিম আলী গাও, রুস্তমপুর, তোয়াকুল, লেঙ্গুড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান জানান, এক মাসের দ্বিতীয় দফা বন্যায় বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জলাবদ্ধ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার তৎপরতা নেওয়া হয়েছে।

কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপ্রসাদের পূর্ব ও পশ্চিম, চতুলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কানাইঘাট পৌর শহরের পূর্ব বাজারে পানি প্রবেশ করায় মঙ্গলবার রাত থেকে অনেক দোকানপাট তলিয়ে গেছে। সীমান্তবর্তী অপর একটি উপজেলা জকিগঞ্জের নিচু গ্রামের শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে

সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, উপজেলা সদরের রাস্তায় পানি উঠেছে।

এদিকে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর দুই পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে সুরমা নদীর তীরবর্তী নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর ও দোকানপাট পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরীর পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত কালীঘাট ও মহাপট্টি আবারো প্লাবিত হয়েছে নদীর ব্যবসায়। মাসখানেক আগের বন্যার আগে আবারও বন্যায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কালীঘাটের ব্যবসায়ীরা।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বুধবার সকাল ৯টায় সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সঙ্গে ফেঞ্চুগঞ্জের পোয়াই দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কুশিয়ারা নদী

নিউজটি শেয়ার করুন

সিলেটে আবারও বন্যা

আপডেট সময় ১০:১৮:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২

শঙ্করের বার্তা আগে থেকেই ছিল। বন্যা সত্যিই সেই আতঙ্ক আবারও আঘাত করেছে সিলেটে। এক মাসও হয়নি। আগাম বন্যার কবল থেকে সিলেটের মানুষ মুক্তি পেয়েছে। তবে বন্যার ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি বন্যার্তরা। সিলেটে আবারো দেখা দিয়েছে বন্যা। গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে আসা বর্ষণে ইতোমধ্যে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও সদর উপজেলার অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফার বন্যায় ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, খাড়া ঢল ও টানা বর্ষণে সিলেট সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বাড়িঘর-রাস্তা, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ। ঢল ও টানা বর্ষণে সিলেটের সুরমা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে আবারও বন্যা শুরু হয়েছে। উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে অনেক গ্রামের। স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বুধবার সকালেও বেশ কয়েকটি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে যেখানে হাঁটু পর্যন্ত পানি, সেখানে কোমরের মতো পানি। ঘরে পানি ঢুকলে গবাদিপশু কোথায় রাখবেন তা নিয়েও অনেক গৃহকর্তা চিন্তিত। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ, স্কুলশিশু ও ব্যবসায়ী।

উপজেলার খাদিমনগর, খাদিমপাড়া, টুকেরবাজার, জালালাবাদ, মুঘলগাঁও, কান্দিগাঁও ও হাটখোলা ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন হাট-বাজার, মসজিদ, স্কুল-মাদ্রাসা ও ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি। ঘরে ঘরে পানি প্রবেশ করায় মানুষের মনেও দেখা দিয়েছে সাপের আতঙ্ক। খাদিমনগর ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ সহ বেশ কিছু এলাকার বাড়িঘর, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্কুল, মসজিদ, রাস্তা, মাঠ ও বীজতলা তলিয়ে গেছে।

খাদিমপাড়া মুরাদপুর, সোনাপুর, মীরের চক, নয়া মসজিদ, মুক্তির চক, ধানকান্দি, পাচঘড়ি, কল্লোগ্রামের একাংশ, ইসলামাবাদ, বালুটিকর, বংশীধর, পালিয়া, দেওয়ানের চক, মাজারগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে।

টুকেরবাজার, সাহেবেরগাঁও, চারুগাঁও, শেখ পাড়া, ওয়ার্ড হায়দারপুর, পীরপুর, শাহপুর, ওয়ার্ড টুকেরগাঁও, গারিপুর, শাহপুর, ওয়ার্ড নোয়াগাঁও, ওয়ার্ড শাহপুর তালুকদার পাড়া, নওয়াপাড়া, মইয়ারচর, খুরুম খালাও। মুঘলগাঁও ইউনিয়নের প্রায় সব ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে।

কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ঘোপাল, জাঙ্গাইল, মিরপুর, গোবিন্দপুর, মীরের গাও, চামাউরকান্দি, নীলগাঁও, নলকোট। জালালাবাদ ইউনিয়ন, হাটখোলা ইউনিয়ন পানি সরবরাহ।

সদর উপজেলা নলকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক জানান, বিদ্যালয়ে পানি উঠে যাওয়ায় শিশুদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে।

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আজমেরী হক জানান, বন্যা কবলিত এলাকায় চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। আমাদের মনিটরিং সেল থেকে সেসব এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ বলেন, আমি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শুকনো খাবার সরবরাহ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে

এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সঙ্গে সব ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নিম্নাঞ্চলের ৯০ শতাংশ মানুষ জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে। এ উপজেলার সদর, পূর্ব ও পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং, পূর্ব ও পশ্চিম আলী গাও, রুস্তমপুর, তোয়াকুল, লেঙ্গুড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান জানান, এক মাসের দ্বিতীয় দফা বন্যায় বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জলাবদ্ধ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার তৎপরতা নেওয়া হয়েছে।

কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়ন লক্ষ্মীপ্রসাদের পূর্ব ও পশ্চিম, চতুলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কানাইঘাট পৌর শহরের পূর্ব বাজারে পানি প্রবেশ করায় মঙ্গলবার রাত থেকে অনেক দোকানপাট তলিয়ে গেছে। সীমান্তবর্তী অপর একটি উপজেলা জকিগঞ্জের নিচু গ্রামের শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে

সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী জানান, উপজেলা সদরের রাস্তায় পানি উঠেছে।

এদিকে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর দুই পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে সুরমা নদীর তীরবর্তী নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর ও দোকানপাট পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরীর পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত কালীঘাট ও মহাপট্টি আবারো প্লাবিত হয়েছে নদীর ব্যবসায়। মাসখানেক আগের বন্যার আগে আবারও বন্যায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কালীঘাটের ব্যবসায়ীরা।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বুধবার সকাল ৯টায় সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সঙ্গে ফেঞ্চুগঞ্জের পোয়াই দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কুশিয়ারা নদী