০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

‘স্টার্টআপদের জন্য সুখবর, ল্যাপটপ আমদানিতে ভ্যাট নিয়ে সংঘর্ষ’

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
  • / ১৭৪২ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

বাজেটে আইসিটি খাতের অবস্থা ‘হরিশে বিষাদ’-এর মতো। একদিকে স্টার্টআপদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা অফার করে। অন্যদিকে ল্যাপটপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কম্পিউটার সামগ্রী আমদানিতে ছাড় প্রত্যাহার। অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশীয় কম্পিউটার নির্মাতারা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। এটি থেকে রক্ষা করার জন্য এই ব্যবস্থা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন ভিন্ন কথা।

প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন যে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ক্ষেত্রে উদ্যোগকে উৎসাহিত করবেন। দেশীয় প্রযুক্তি পণ্যের উন্নয়নে আমদানি পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। স্টার্টআপের জন্য বিশেষ প্রণোদনার প্রস্তাবে আইসিটি বিভাগের বরাদ্দ বেড়েছে ২৫০ কোটি টাকার বেশি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জন্য ১ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। 2021-22 অর্থবছরে, বরাদ্দ ছিল 1,620 কোটি টাকা, যা পরে সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে 1,642 কোটি টাকা করা হয়। অর্থাৎ এবার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ২৬৪ কোটি টাকা।

বিশ্বে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ড করতে চায় সরকার। তাই দেশীয় নির্মাতাদের বিনিয়োগ রক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানির জন্য সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কম্পিউটার, প্রিন্টার ও টোনার কার্টিজ আমদানিতে ছাড় প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ল্যাপটপ আমদানিতে ভ্যাট ছাড় দিচ্ছে সরকার। তবে নতুন বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত না করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দেশীয় কম্পিউটার নির্মাতারা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই ল্যাপটপ ও কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন তিনি।

স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের টার্নওভার করের হার ০.৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও, আয়কর রিটার্ন দাখিল ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত প্রতিবেদন থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়েছে।

মোবাইল ফোন উৎপাদন ও অ্যাসেম্বলিং শিল্পের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এই শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান ছাড়কে আরও বিনিয়োগবান্ধব ও যৌক্তিক করা হয়েছে এবং ফিচার ফোন আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, চার্জার এবং ইন্টারেক্টিভ ডিসপ্লে স্থানীয় উৎপাদনের জন্য ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। টেলিফোন সেটে ব্যবসায়িক পর্যায়ে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেছেন:

নিউজটি শেয়ার করুন

‘স্টার্টআপদের জন্য সুখবর, ল্যাপটপ আমদানিতে ভ্যাট নিয়ে সংঘর্ষ’

আপডেট সময় ০৯:১৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২

বাজেটে আইসিটি খাতের অবস্থা ‘হরিশে বিষাদ’-এর মতো। একদিকে স্টার্টআপদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা অফার করে। অন্যদিকে ল্যাপটপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কম্পিউটার সামগ্রী আমদানিতে ছাড় প্রত্যাহার। অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশীয় কম্পিউটার নির্মাতারা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। এটি থেকে রক্ষা করার জন্য এই ব্যবস্থা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন ভিন্ন কথা।

প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন যে তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ক্ষেত্রে উদ্যোগকে উৎসাহিত করবেন। দেশীয় প্রযুক্তি পণ্যের উন্নয়নে আমদানি পণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। স্টার্টআপের জন্য বিশেষ প্রণোদনার প্রস্তাবে আইসিটি বিভাগের বরাদ্দ বেড়েছে ২৫০ কোটি টাকার বেশি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জন্য ১ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। 2021-22 অর্থবছরে, বরাদ্দ ছিল 1,620 কোটি টাকা, যা পরে সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে 1,642 কোটি টাকা করা হয়। অর্থাৎ এবার বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ২৬৪ কোটি টাকা।

বিশ্বে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ড করতে চায় সরকার। তাই দেশীয় নির্মাতাদের বিনিয়োগ রক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানির জন্য সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কম্পিউটার, প্রিন্টার ও টোনার কার্টিজ আমদানিতে ছাড় প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

ল্যাপটপ আমদানিতে ভ্যাট ছাড় দিচ্ছে সরকার। তবে নতুন বাজেটে তা অন্তর্ভুক্ত না করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দেশীয় কম্পিউটার নির্মাতারা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই ল্যাপটপ ও কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছেন তিনি।

স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের টার্নওভার করের হার ০.৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও, আয়কর রিটার্ন দাখিল ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত প্রতিবেদন থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়েছে।

মোবাইল ফোন উৎপাদন ও অ্যাসেম্বলিং শিল্পের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এই শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান ছাড়কে আরও বিনিয়োগবান্ধব ও যৌক্তিক করা হয়েছে এবং ফিচার ফোন আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, চার্জার এবং ইন্টারেক্টিভ ডিসপ্লে স্থানীয় উৎপাদনের জন্য ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। টেলিফোন সেটে ব্যবসায়িক পর্যায়ে বিদ্যমান ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেছেন: