ইভালির রাসেলসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে
- আপডেট সময় ১২:৫৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
- / ১২০১ বার পড়া হয়েছে
ই-কমার্স কোম্পানি ইভালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার চেক জালিয়াতির তিনটি মামলায় রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন লক্ষ্মীপুরের আদালত। মঙ্গলবার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লক্ষ্মীপুর সদর আদালতের বিচারক শামসুল আরেফিন এ আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত অন্যরা হলেন ইভালির ম্যানেজার (অর্থ) জায়েদ হাসান এবং সিনিয়র ম্যানেজার (অর্থ) আবদুল্লাহ আল মাসুদ।
আইনজীবী ও ভুক্তভোগী মুহাম্মদ মাহমুদুল হক বাদী হয়ে গত ২৬ ও ২৭ মার্চ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লক্ষ্মীপুর সদর আদালতে ইভালির সিইওসহ চারজনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন।
মাহমুদুল হক সুজন বলেন, বিচারক মামলাগুলো আমলে নিয়ে সমন জারি করেছেন। আসামিদের আজ আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ পাঠিয়েছে আদালত। কিন্তু তারা আদালতে হাজির হননি। এ কারণে আদালতের বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, মাহমুদুল হক এসি, টিভি, ফ্রিজ ও মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভালিকে অগ্রিম টাকা দেন। কিন্তু ইভালি পণ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। পরে ইভালির কর্মকর্তা জায়েদ হাসান ও আবদুল্লাহ আল মাসুদের যৌথ স্বাক্ষরে মিডল্যান্ড ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার তিনটি চেক মাহমুদুল হকের কাছে পাঠানো হয়। নগদ অর্থের জন্য তিনি ১৩ জানুয়ারি চেকগুলো নিজের ব্যাংকে জমা দেন। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আলাদা চেক।
ওয়ান ব্যাঙ্ক থেকে মিডল্যান্ড ব্যাঙ্কে নগদের জন্য চেক পাঠানোর পর জানা যায় ইভালির অ্যাকাউন্ট বন্ধ। চেক ফেরত দেওয়া হয়. গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাহমুদুল হক আইনজীবীর মাধ্যমে আসামিকে আইনি নোটিশ দেন। কিন্তু তারা বকেয়া পরিশোধ করেনি এবং চেকও ফেরত দেয়নি। আভালির ব্যাঙ্কে পর্যাপ্ত টাকা না দেওয়া এবং অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চেক দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।