বিষয়টি খতিয়ে দেখে সংশোধন বা বাতিল করা হবে: জনপ্রশাসন সচিব মো কে এম আলী আজম
- আপডেট সময় ১০:৪৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
- / ১২৫৫ বার পড়া হয়েছে
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম জানান, তার মন্ত্রণালয়ের বইয়ের তালিকায় একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই পরীক্ষার পর সংশোধন বা বাতিল করা হবে। এই বইটি বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
কে এম আলী আজম রোববার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
শনিবার প্রথম আলো পত্রিকায় ‘বই ক্রয় তালিকায় অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ‘জ্ঞান ও সাক্ষরতা’ বাড়াতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি উদ্যোগ তুলে ধরা হয়েছে।
সেই উদ্যোগের আওতায় জেলা ও উপজেলায় বই কেনার জন্য ৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে পাঠানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭৭টি বইয়ের তালিকা। তালিকায় একজন অতিরিক্ত সচিবের ২৯টি বই রয়েছে। তালিকায় থাকা 1,477টি বইয়ের মধ্যে 100টিরও বেশি বই অন্তত 25 জন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার লেখা। অনেক বইয়ের থিম একই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম আজ বলেন, সত্যতা প্রমাণিত হলে বা কোনো সমস্যা দেখা দিলে তালিকা সংশোধন বা বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোমবার বৈঠক করবেন বলেও জানান তিনি।
ওই তালিকায় ২৯টি বই থাকার বিষয়ে একজন অতিরিক্ত সচিব অবগত ছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, গণমাধ্যমে ২৯টি বই থাকার কথা তাকে জানানো হয়েছে। এখন আগামীকাল সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। লাইব্রেরি নির্মাণে কী সুবিধা হবে এবং নৈতিকতার ক্ষেত্রে কী করা উচিত সেদিকে দৃষ্টি দেন তিনি।
জনপ্রশাসন সচিব আরও বলেন, তারা উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে শেখার অভ্যাস গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী চার বছরের জন্য স্বল্প বরাদ্দ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে লাইব্রেরি করা হচ্ছে। এখন এই অফিস (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) থেকে ১৪০০ বইয়ের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এমন নয় যে আপনাকে এই তালিকা থেকে কিনতে হবে। হালকা বা বিবেচনায় কিনতে বলা হয়।