০৬:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তাই বিদায়, রুডি কোর্টজেন

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২
  • / ১১৬৩ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ারের জীবন খুবই নিঃসঙ্গ। ক্রিকেটারদের থেকেও বেশি। ক্রিকেটাররা একটি বড় দলের অংশ। আম্পায়ারদের দল খুবই ছোট। ম্যাচ রেফারি যোগ করলেও চার-পাঁচের বেশি নয়। তাদের সাথে সবাই ভালো সঙ্গ দেবে এটা ভাবা ঠিক নয়। বাইরের কারো সাথে মেশার আগে ১০০ বার ভাবতে হবে। লোকটা ফিক্সিং-টেক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত নয়! আম্পায়ারদের নিজেদের একটু মাঠের বাইরে রাখতে হয়।

একজন আন্তর্জাতিক আম্পায়ারের জীবন তাই নিঃসঙ্গ। আন্তর্জাতিক আম্পায়ারের জীবন মানেই দিনের পর দিন পরিবার থেকে দূরে থাকা। বছরে কত দিন?

রুডি কোর্টজেনকে জিজ্ঞাসা করুন এবং তিনি বলবেন, ‘220 থেকে 250 দিন।’

2010 সালে অবসর নেওয়ার পর হাসিমুখে তিনি বলেন, ‘এবার উল্টোটা হবে। আমি আমার পরিবারের সাথে বছরে 220 থেকে 250 দিন কাটাব।

প্রায় দেড় বছর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু যতক্ষণ তিনি বাইরে ছিলেন, কোয়ের্তজেন তার পরিবারের সাথে আর থাকতে পারেননি। হঠাৎ করেই একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় তার জীবন শেষ হয়ে গেল।

অবসর নেওয়ার সময় তিনি সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করার রেকর্ড করেছিলেন। প্রায় এক শতাব্দী পরও তাকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেছেন মাত্র একজন। 108টি টেস্ট, 209টি ওয়ানডেতে আম্পায়ার করেছেন। 2005 সালে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের ফাইনাল, এছাড়াও আইসিসি সুপার সিরিজ। 2002 সালে তিনি বিশ্বের সেরা আম্পায়ার নির্বাচিত হন। এটা বলার একটাই কারণ আছে। সংখ্যা দ্বারা উহ্য কি জন্য একটি বিট আরো জোরালো তর্ক করা. আম্পায়ার হিসেবে রুডি কোয়ের্তজেন ছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা।

মাঠে, মাঠের বাইরে, বিমানবন্দরে, বিমানে, হোটেলে… রুডি কোর্টজেনকে অসংখ্যবার দেখা গেছে। আমার মনে হয় 2007 সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের সময় আমি তাকে বার্বাডোজ বিমানবন্দরে বলেছিলাম। এক সময়ের কাপ থেকে কফিতে চুমুক দেওয়ার সময় সে কী মজা করছিল? আমি বললাম, ‘আপনাকে মাঠে দেখে আপনার নামের বৈধতা প্রমাণ করে। এখন দেখছি, তুমি অন্যরকম মানুষ।

কোয়ের্তজেন কৌতূহলী দৃষ্টিতে একটি প্রশ্নবিদ্ধ ভ্রু তুললেন। আমি বুঝিয়ে বললাম, ‘আপনার নামের প্রথম অংশটি হল “রুডি”। মাঠে তোমাকে খুব “অভদ্র” দেখাচ্ছে। মনে হয় সে সারাক্ষণ রেগে আছে। কিন্তু এখন দেখছি তুমি খুব মজার মানুষ।

কোয়ের্তজেন আমার কথা শুনে মজা পেয়েছিলেন। নইলে হাসতেন! মুখে হাসি নিয়ে বললেন, ‘মাঠে এমন মুখোশ পরতে হবে। নইলে ক্রিকেটাররা পাত্তা দেবে কি না!’

সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে রুডি কোয়ের্টজেনের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কালো দাগ পড়ে। অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা ফাইনাল। শেষ ৩ ওভারে ৬৩ রান দরকার, উইকেটে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ও চামিন্দা ভাস। অস্ট্রেলিয়ার জয় নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আরও গুরুত্বপূর্ণ, কেনসিংটন ওভালে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। স্টেডিয়ামের পাশের রাস্তার বাতি জ্বলছে। প্রেস বক্স থেকে বল দেখতে পাচ্ছি না।

এরপর ব্যাটসম্যানদের মতামত আলোর অভাবে খেলা বন্ধ হবে কিনা সে সিদ্ধান্তে ভূমিকা রাখে। দুই ফিল্ড আম্পায়ার, আলিম দার এবং স্টিভ বাকনর, তাই মালিঙ্গা এবং ভাসকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তারা খেলা চালিয়ে যেতে চান কি না। বল দেখতে সমস্যা হচ্ছে, জয়ের কোনো আশা নেই। তাই হার মেনেছেন মালিঙ্গা-ভাস। অস্ট্রেলিয়ার টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের উন্মাদনা উদযাপন শুরু হয়। এর মধ্যেই মাঠে নামেন চতুর্থ আম্পায়ার বিলি বাউডেন। সেই ফাইনালে টিভি আম্পায়ার ছিলেন রুডি কোর্টজেন। তিনিও এসেছেন কিনা মনে করতে পারছি না।

মাঠে নেমে একটা বার্তা নিয়ে- খেলা শেষ হতে 3 ওভার বাকি। অস্ট্রেলিয়ার জয়ন্তীতে আলিম দার যখন রিকি পন্টিংকে এই কথা বলেন, পন্টিং অবাক হওয়ার চেয়ে বেশি রেগে যান। তবে প্রেস বক্স থেকে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। পরে জেনেছি, আম্পায়াররা বলেছেন, প্রয়োজনে পরের দিন এই তিন ওভার খেলা হবে। কিন্তু অন্য একদিন মাঠে এসে এই। 2007 সালে হোবার্টেখেলার মানে নেই! কোনো পক্ষই রাজি নয়। অবশেষে সিদ্ধান্ত হলো আজই শেষ হবে ম্যাচ। মাহেলা জয়াবর্ধনে এই শর্তে খেলতে রাজি হয়েছেন যে পন্টিং শুধুমাত্র স্পিনারদের সাথে বল করবেন। অস্ট্রেলিয়ান স্পিনাররা বল নিয়ে প্রায় হাঁটছে আর শ্রীলঙ্কানরা সেটাকে আটকানোর চেষ্টা করছে। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ম্যাচে এমন লোমহর্ষক দৃশ্য দেখা যাবে তা কেউ ভাবতেও পারেনি।

এখনও ভাবছেন, রুডি কোর্টজেন কীভাবে ভুলে গেলেন যে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি, যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসের কমপক্ষে 20 ওভারের পরে খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়? আলিম দার – বাকনরের মতো দুই অভিজ্ঞ ফিল্ড আম্পায়ার – কীভাবে এই ভুলটি মেনে নিলেন? এমনই কেলেঙ্কারি যে ম্যাচ শেষে দুই অধিনায়কের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোকে। কোয়ের্তজেন অবশ্য এর জন্য ভারী মূল্য পরিশোধ করেছেন। কয়েক মাস পর প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি।

আম্পায়াররা ভুল করেন। কোয়ের্তজেনও তাই করেছিলেন। কিন্তু সেই ভুল স্বীকার করার মতো কোনো অহংকার তার মধ্যে কাজ করেনি। 2007 সালে হোবার্টে, কুমার ভুল করে সাঙ্গাকারাকে আউট করেন। বলটি সাঙ্গাকারার কাঁধ ছুঁয়ে হেলমেটে লেগে যায়। কোয়ের্তজেন ভেবেছিলেন বলটি গ্লাভসে আঘাত করেছে। পরে টিভিতে দেখার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে সাঙ্গাকারাকে ‘সরি’ বলেন তিনি। এতটা প্রচার হতো না

নিউজটি শেয়ার করুন

তাই বিদায়, রুডি কোর্টজেন

আপডেট সময় ০৪:৫০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২

একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আম্পায়ারের জীবন খুবই নিঃসঙ্গ। ক্রিকেটারদের থেকেও বেশি। ক্রিকেটাররা একটি বড় দলের অংশ। আম্পায়ারদের দল খুবই ছোট। ম্যাচ রেফারি যোগ করলেও চার-পাঁচের বেশি নয়। তাদের সাথে সবাই ভালো সঙ্গ দেবে এটা ভাবা ঠিক নয়। বাইরের কারো সাথে মেশার আগে ১০০ বার ভাবতে হবে। লোকটা ফিক্সিং-টেক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত নয়! আম্পায়ারদের নিজেদের একটু মাঠের বাইরে রাখতে হয়।

একজন আন্তর্জাতিক আম্পায়ারের জীবন তাই নিঃসঙ্গ। আন্তর্জাতিক আম্পায়ারের জীবন মানেই দিনের পর দিন পরিবার থেকে দূরে থাকা। বছরে কত দিন?

রুডি কোর্টজেনকে জিজ্ঞাসা করুন এবং তিনি বলবেন, ‘220 থেকে 250 দিন।’

2010 সালে অবসর নেওয়ার পর হাসিমুখে তিনি বলেন, ‘এবার উল্টোটা হবে। আমি আমার পরিবারের সাথে বছরে 220 থেকে 250 দিন কাটাব।

প্রায় দেড় বছর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ পান তিনি। কিন্তু যতক্ষণ তিনি বাইরে ছিলেন, কোয়ের্তজেন তার পরিবারের সাথে আর থাকতে পারেননি। হঠাৎ করেই একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় তার জীবন শেষ হয়ে গেল।

অবসর নেওয়ার সময় তিনি সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করার রেকর্ড করেছিলেন। প্রায় এক শতাব্দী পরও তাকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেছেন মাত্র একজন। 108টি টেস্ট, 209টি ওয়ানডেতে আম্পায়ার করেছেন। 2005 সালে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের ফাইনাল, এছাড়াও আইসিসি সুপার সিরিজ। 2002 সালে তিনি বিশ্বের সেরা আম্পায়ার নির্বাচিত হন। এটা বলার একটাই কারণ আছে। সংখ্যা দ্বারা উহ্য কি জন্য একটি বিট আরো জোরালো তর্ক করা. আম্পায়ার হিসেবে রুডি কোয়ের্তজেন ছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা।

মাঠে, মাঠের বাইরে, বিমানবন্দরে, বিমানে, হোটেলে… রুডি কোর্টজেনকে অসংখ্যবার দেখা গেছে। আমার মনে হয় 2007 সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের সময় আমি তাকে বার্বাডোজ বিমানবন্দরে বলেছিলাম। এক সময়ের কাপ থেকে কফিতে চুমুক দেওয়ার সময় সে কী মজা করছিল? আমি বললাম, ‘আপনাকে মাঠে দেখে আপনার নামের বৈধতা প্রমাণ করে। এখন দেখছি, তুমি অন্যরকম মানুষ।

কোয়ের্তজেন কৌতূহলী দৃষ্টিতে একটি প্রশ্নবিদ্ধ ভ্রু তুললেন। আমি বুঝিয়ে বললাম, ‘আপনার নামের প্রথম অংশটি হল “রুডি”। মাঠে তোমাকে খুব “অভদ্র” দেখাচ্ছে। মনে হয় সে সারাক্ষণ রেগে আছে। কিন্তু এখন দেখছি তুমি খুব মজার মানুষ।

কোয়ের্তজেন আমার কথা শুনে মজা পেয়েছিলেন। নইলে হাসতেন! মুখে হাসি নিয়ে বললেন, ‘মাঠে এমন মুখোশ পরতে হবে। নইলে ক্রিকেটাররা পাত্তা দেবে কি না!’

সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে রুডি কোয়ের্টজেনের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কালো দাগ পড়ে। অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা ফাইনাল। শেষ ৩ ওভারে ৬৩ রান দরকার, উইকেটে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ও চামিন্দা ভাস। অস্ট্রেলিয়ার জয় নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আরও গুরুত্বপূর্ণ, কেনসিংটন ওভালে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। স্টেডিয়ামের পাশের রাস্তার বাতি জ্বলছে। প্রেস বক্স থেকে বল দেখতে পাচ্ছি না।

এরপর ব্যাটসম্যানদের মতামত আলোর অভাবে খেলা বন্ধ হবে কিনা সে সিদ্ধান্তে ভূমিকা রাখে। দুই ফিল্ড আম্পায়ার, আলিম দার এবং স্টিভ বাকনর, তাই মালিঙ্গা এবং ভাসকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তারা খেলা চালিয়ে যেতে চান কি না। বল দেখতে সমস্যা হচ্ছে, জয়ের কোনো আশা নেই। তাই হার মেনেছেন মালিঙ্গা-ভাস। অস্ট্রেলিয়ার টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের উন্মাদনা উদযাপন শুরু হয়। এর মধ্যেই মাঠে নামেন চতুর্থ আম্পায়ার বিলি বাউডেন। সেই ফাইনালে টিভি আম্পায়ার ছিলেন রুডি কোর্টজেন। তিনিও এসেছেন কিনা মনে করতে পারছি না।

মাঠে নেমে একটা বার্তা নিয়ে- খেলা শেষ হতে 3 ওভার বাকি। অস্ট্রেলিয়ার জয়ন্তীতে আলিম দার যখন রিকি পন্টিংকে এই কথা বলেন, পন্টিং অবাক হওয়ার চেয়ে বেশি রেগে যান। তবে প্রেস বক্স থেকে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। পরে জেনেছি, আম্পায়াররা বলেছেন, প্রয়োজনে পরের দিন এই তিন ওভার খেলা হবে। কিন্তু অন্য একদিন মাঠে এসে এই। 2007 সালে হোবার্টেখেলার মানে নেই! কোনো পক্ষই রাজি নয়। অবশেষে সিদ্ধান্ত হলো আজই শেষ হবে ম্যাচ। মাহেলা জয়াবর্ধনে এই শর্তে খেলতে রাজি হয়েছেন যে পন্টিং শুধুমাত্র স্পিনারদের সাথে বল করবেন। অস্ট্রেলিয়ান স্পিনাররা বল নিয়ে প্রায় হাঁটছে আর শ্রীলঙ্কানরা সেটাকে আটকানোর চেষ্টা করছে। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ম্যাচে এমন লোমহর্ষক দৃশ্য দেখা যাবে তা কেউ ভাবতেও পারেনি।

এখনও ভাবছেন, রুডি কোর্টজেন কীভাবে ভুলে গেলেন যে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি, যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসের কমপক্ষে 20 ওভারের পরে খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়? আলিম দার – বাকনরের মতো দুই অভিজ্ঞ ফিল্ড আম্পায়ার – কীভাবে এই ভুলটি মেনে নিলেন? এমনই কেলেঙ্কারি যে ম্যাচ শেষে দুই অধিনায়কের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোকে। কোয়ের্তজেন অবশ্য এর জন্য ভারী মূল্য পরিশোধ করেছেন। কয়েক মাস পর প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি।

আম্পায়াররা ভুল করেন। কোয়ের্তজেনও তাই করেছিলেন। কিন্তু সেই ভুল স্বীকার করার মতো কোনো অহংকার তার মধ্যে কাজ করেনি। 2007 সালে হোবার্টে, কুমার ভুল করে সাঙ্গাকারাকে আউট করেন। বলটি সাঙ্গাকারার কাঁধ ছুঁয়ে হেলমেটে লেগে যায়। কোয়ের্তজেন ভেবেছিলেন বলটি গ্লাভসে আঘাত করেছে। পরে টিভিতে দেখার পর নিজের ভুল বুঝতে পেরে সাঙ্গাকারাকে ‘সরি’ বলেন তিনি। এতটা প্রচার হতো না