তিন বছর তাকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ এমপি একরামুলের
- আপডেট সময় ০৩:১০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৮৩১ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, গত তিন বছরে তাকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। শনিবার বিকেলে এক সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন। তবে কারা তাকে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়নি তা বলেননি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক কটূক্তির প্রতিবাদে একরামুল করিম চৌধুরী এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশে তিনি বলেন, একটি মহল ভেবেছিল আমাকে পদ থেকে সরিয়ে দিলে আমার রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে। তবে আগে যে জনপ্রিয়তা ছিল, এখন তা অনেক বেড়েছে। যতদিন রাজনীতিতে আছি, কর্মী-নেতাদের রক্তের বিনিময়ে ভালোবাসা দিয়েছি। তোমার ভালবাসা দেয়নি সে খাওয়ার সময় একাই খেয়েছে।
একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমার নেত্রীর বিরুদ্ধে যে কথা বলবে তাকে ছাড় দেব না। আমার নেতা ও আমার কর্মীকে গালি দেওয়া একই কথা। কয়, কে কোথায় গালি দিল? আমি বলি, বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে নেতাকে গালি দেওয়া উচিত, একটা কথা। আমি আমার নেত্রীর অপমান কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না।’
জনসমাগম নিশ্চিত করতে সদর উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে লোকজন আনা হয়। তাদের পরিবহনের জন্য 350টি বাস ভাড়া করা হয়েছিল।
নগরীর আব্দুল মালেক উকিল সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন। বক্তব্য রাখেন সাবেক স্পিকার প্রয়াত আব্দুল মালেক উকিলের ছেলে ও বিটিভির সাবেক উপ-মহাপরিচালক বাহার উদ্দিন খেলান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমান ভাট, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক প্রমুখ।
তবে একরামুল করিম চৌধুরীর ডাকা সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক, দুই যুগ্ম আহ্বায়ক বা শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না। এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন BD OPEN NEWS
কে বলেন, এটা সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত বৈঠক। এর সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। দলের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের সভা ডাকার কোনো এখতিয়ার তার নেই।
দলীয় নেতা-কর্মীদের মতে, একে প্রতিবাদ সমাবেশ বলা হলেও এটি ছিল মূলত সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর প্রতি জনসমর্থন দেখানোর বিশেষ উদ্যোগ। জনসমাগম নিশ্চিত করতে সদর উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে লোকজন আনা হয়। তাদের পরিবহনের জন্য 350টি বাস ভাড়া করা হয়েছিল। প্রতিবাদ সমাবেশে সদর উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, সুবর্ণচর ও সেনবাগ উপজেলার বহু মানুষ যোগ দেন।
একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০ নভেম্বর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচিত হন। কিন্তু প্রস্তাবিত কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠার পর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এবং গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ৮৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়, যাতে একরামুলকে সদস্য রাখা হয়।