০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানের সাথে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৪৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে
নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানের সাথে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়: অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন, সংস্কার কমিশন, ট্রুথ ও রিকনসিলেশন প্রসেসসহ নানা বিষয়ে আলোচনা। বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ঢাকা
ঢাকায় নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধান মাইকেল মিলারের সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ। আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় ঢাকাস্থ ইউরোপিয় ইউনিয়ন মিশনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন; প্রতিনিধি দলে তাঁর সাথে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক এবং ইন্টারন্যাশনাল টিমের অন্যতম সদস্য হাজরা মেহজাবিন। এসময় ইইউ প্রতিনিধি দলের ডেপুটি হেড ড. বার্ণড স্প্যানিয়ারও উপস্থিত ছিলেন।
এবি পার্টি রাষ্ট্রদূত মিলারকে ২০২০ সালে দলটির আত্মপ্রকাশ, কেন্দ্র ও তৃণমূলে সংগঠন কাঠামো, দেশ জুড়ে দলের নেটওয়ার্ক এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের রাজনীতি বিষয়ে ধারণা দেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে সেবা এবং সমস্যা সমাধানের রাজনীতির ধারনা কীভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা তারা তুলে ধরেন। বিগত বছরগুলিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন এবং বিশেষ করে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে এবি পার্টির ভূমিকা সম্পর্কেও বৈঠকে আলোচনা হয়।
এবি পার্টি মনে করে যে, ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী শাসক দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। তারা যে প্রেক্ষাপটে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে সে প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রতি এখনও মানুষের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তুলনামূলকভাবে তারা ভাল কাজ করার চেষ্টা করছে। যদিও, অগ্রগতি এবং উন্নয়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ব্যপারে এবি পার্টির দায়িত্বশীল সমলোচনা চলমান রেখেছে। এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ মনেকরে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইইউ’র এমনকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ এবং অবদান রয়েছে যা প্রশংসার দাবিদার। তবে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইইউ’র পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করে এবি পার্টি। এবি পার্টি বিশ্বাস করে যে ২০২৬ সালে এলডিজি গ্রাজুয়েশন বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাই তা সংশোধন করা দরকার। বাংলাদেশে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে সাহায্য করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি বৈঠকে অনুরোধ জানানো হয়।
দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনে বিপর্যস্থ হওয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে কোটি কোটি বেকারদের জন্য কাজের বাজার তৈরি করতে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্যটন খাতে এফডিআইকে উৎসাহিত করতে ইইউ বাংলাদেশকে সাহায্য করবে বলে এবি পার্টি আশাবাদ ব্যক্ত করে। রাষ্ট্রদূত মিলার গণতন্ত্রে উত্তরণ সম্পর্কে নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে আরও জানতে আগ্রহী ছিলেন এবং আশ্বস্ত করেছিলেন যে ইইউ তার সহায়তা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করবে।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানের সাথে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়

আপডেট সময় ০৭:৪৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানের সাথে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়: অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন, সংস্কার কমিশন, ট্রুথ ও রিকনসিলেশন প্রসেসসহ নানা বিষয়ে আলোচনা। বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ঢাকা
ঢাকায় নবনিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধান মাইকেল মিলারের সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ। আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় ঢাকাস্থ ইউরোপিয় ইউনিয়ন মিশনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন; প্রতিনিধি দলে তাঁর সাথে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ইনচার্জ ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক এবং ইন্টারন্যাশনাল টিমের অন্যতম সদস্য হাজরা মেহজাবিন। এসময় ইইউ প্রতিনিধি দলের ডেপুটি হেড ড. বার্ণড স্প্যানিয়ারও উপস্থিত ছিলেন।
এবি পার্টি রাষ্ট্রদূত মিলারকে ২০২০ সালে দলটির আত্মপ্রকাশ, কেন্দ্র ও তৃণমূলে সংগঠন কাঠামো, দেশ জুড়ে দলের নেটওয়ার্ক এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের রাজনীতি বিষয়ে ধারণা দেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে সেবা এবং সমস্যা সমাধানের রাজনীতির ধারনা কীভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা তারা তুলে ধরেন। বিগত বছরগুলিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন এবং বিশেষ করে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে এবি পার্টির ভূমিকা সম্পর্কেও বৈঠকে আলোচনা হয়।
এবি পার্টি মনে করে যে, ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী শাসক দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। তারা যে প্রেক্ষাপটে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে সে প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রতি এখনও মানুষের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তুলনামূলকভাবে তারা ভাল কাজ করার চেষ্টা করছে। যদিও, অগ্রগতি এবং উন্নয়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ব্যপারে এবি পার্টির দায়িত্বশীল সমলোচনা চলমান রেখেছে। এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ মনেকরে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইইউ’র এমনকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ এবং অবদান রয়েছে যা প্রশংসার দাবিদার। তবে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইইউ’র পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করে এবি পার্টি। এবি পার্টি বিশ্বাস করে যে ২০২৬ সালে এলডিজি গ্রাজুয়েশন বাস্তবায়িত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাই তা সংশোধন করা দরকার। বাংলাদেশে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে সাহায্য করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি বৈঠকে অনুরোধ জানানো হয়।
দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনে বিপর্যস্থ হওয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে কোটি কোটি বেকারদের জন্য কাজের বাজার তৈরি করতে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ও পর্যটন খাতে এফডিআইকে উৎসাহিত করতে ইইউ বাংলাদেশকে সাহায্য করবে বলে এবি পার্টি আশাবাদ ব্যক্ত করে। রাষ্ট্রদূত মিলার গণতন্ত্রে উত্তরণ সম্পর্কে নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে আরও জানতে আগ্রহী ছিলেন এবং আশ্বস্ত করেছিলেন যে ইইউ তার সহায়তা অব্যাহত রাখতে চেষ্টা করবে।