০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ কারো হাতে তুলে দেওয়া চলবে না: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • / ১৩৯৮ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের সহযোগিতায় সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। ঠিক এভাবেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। কখনো কারো উপর নির্ভরশীল হবেন না, কারো কাছে হাত পাতবেন না।

বৃহস্পতিবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা শুরু করেন ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র সদস্য তোফায়েল আহমেদ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য, আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশের উন্নয়নে দলের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আওয়ামী লীগ মানে বাংলায় কথা বলা, আওয়ামী লীগ মানে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশ, উন্নত, সমৃদ্ধ, সোনার বাংলা।

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির সাত মাসের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈরী মনোভাব দেখা যায়। বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা, আর্থ-সামাজিক শোষণ, নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতির পিতা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে আসছে।

আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শামসুল হকসহ আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ এদেশের শোষিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সব সময় লড়াই করেছে। এ সংগ্রামে প্রাণ দিতে হয়েছে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে

স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের নামের সঙ্গে স্বাধীনতা ও অধিকার জড়িত। জাতির পিতা সংবিধানে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার দিয়েছিলেন এবং একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নীত করেছিলেন। 1975 সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা পায়। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশ শুধু জাতির পিতাকে হারায়নি, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনাও হারিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। জয়বাংলা স্লোগান বেছে নেওয়া হয়। ইতিহাস থেকে মুছে গেল বঙ্গবন্ধুর নাম। কিন্তু ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারে আসে। পরে তিনি দ্বিতীয়বার সরকারে আসেন। ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারে থাকুন আর বিরোধী দলে থাকুন, বাংলার মানুষের যখনই কোনো সমস্যা হয়েছে তখনই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এটাই আওয়ামী লীগের আদর্শ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, ইনশাআল্লাহ, জনগণের সেবা করার সুযোগ পেলে অবশ্যই ভবিষ্যতে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ কারো হাতে তুলে দেওয়া চলবে না: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের সহযোগিতায় সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। ঠিক এভাবেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। কখনো কারো উপর নির্ভরশীল হবেন না, কারো কাছে হাত পাতবেন না।

বৃহস্পতিবার সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনা শুরু করেন ক্ষমতাসীন দলের সিনিয়র সদস্য তোফায়েল আহমেদ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য, আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশের উন্নয়নে দলের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আওয়ামী লীগ মানে বাংলায় কথা বলা, আওয়ামী লীগ মানে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশ, উন্নত, সমৃদ্ধ, সোনার বাংলা।

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির সাত মাসের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈরী মনোভাব দেখা যায়। বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা, আর্থ-সামাজিক শোষণ, নির্যাতন-নিপীড়ন শুরু হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতির পিতা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে আসছে।

আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শামসুল হকসহ আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ এদেশের শোষিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সব সময় লড়াই করেছে। এ সংগ্রামে প্রাণ দিতে হয়েছে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে

স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের নামের সঙ্গে স্বাধীনতা ও অধিকার জড়িত। জাতির পিতা সংবিধানে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার দিয়েছিলেন এবং একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রদেশকে রাষ্ট্রে উন্নীত করেছিলেন। 1975 সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা পায়। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশ শুধু জাতির পিতাকে হারায়নি, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনাও হারিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। জয়বাংলা স্লোগান বেছে নেওয়া হয়। ইতিহাস থেকে মুছে গেল বঙ্গবন্ধুর নাম। কিন্তু ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারে আসে। পরে তিনি দ্বিতীয়বার সরকারে আসেন। ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারে থাকুন আর বিরোধী দলে থাকুন, বাংলার মানুষের যখনই কোনো সমস্যা হয়েছে তখনই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এটাই আওয়ামী লীগের আদর্শ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, ইনশাআল্লাহ, জনগণের সেবা করার সুযোগ পেলে অবশ্যই ভবিষ্যতে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হব।’