০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

বিআরটিসির বাসগুলো পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণ দিকে যাচ্ছে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:২১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • / ১২৮০ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি। এতদিন বিআরটিসির বাস নেই এমন প্রায় সব জেলায় বাস চালু করতে চায় সংস্থাটি। তারা পদ্মা সেতু জুড়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) এবং নন-এসি বাস পাবেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) সূত্রে জানা গেছে, বিআরটিসি বাসের নতুন রুট, যাত্রী চাহিদা এবং কয়টি বাস খালাস করতে হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে রোববার মতিঝিলে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিআরটিসি বাস ডিপো প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। তবে ফেরি পারাপারের বাইরে বিভিন্ন রুটে ৭০ থেকে ৮০টি নতুন বাস চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিআরটিসির অপারেশন বিভাগ অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাকা থেকে খুলনা ও যশোরে ফেরি রুটে ১৬ থেকে ১৮টি বাস চলাচল করে। আর বরিশাল থেকে মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি পর্যন্ত ১৫টি বাস চলাচল করছে। ফেরি পার হয়ে এগুলো ঢাকায় আসে না। পদ্মা সেতু চালু হলে বরিশাল থেকে ঢাকা পর্যন্ত এসব বাস চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ঢাকা থেকে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুরসহ অন্যান্য জেলায় বাস চালু করা হবে।

বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, নতুন বাস নামবে, এটা নিশ্চিত। তবে কয়টি বাস খালাস করতে হবে এবং কোন রুটে চলবে তা নিয়ে কাজ চলছে। রোববার রুটগুলো চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, বিআরটিসি পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলায় বাস চালু করার পরিকল্পনা করছে।

বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের সংসদ সদস্য ও পরিবহন শ্রমিক নেতা শাহজাহান খান বুধবার বিআরটিসিতে এসে নিজ জেলায় কোম্পানির বাস চালুর প্রস্তাব দেন। অন্যান্য জেলার জনপ্রতিনিধিরাও নিজ নিজ এলাকায় বিআরটিসির বাস চাইছেন

বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ১৯৬টি রুটে বিআরটিসি বাস চলাচল করে। এছাড়াও কোলকাতা ও আগরতলা রুটেও সংস্থাটি বাস চালায়। সব মিলিয়ে কোম্পানিটির চলাচলকারী বাসের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৪শ’টি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরটিসির এক কর্মকর্তা প্রথম আলো</em>কে বলেন, কোনো বেসরকারি কোম্পানি নতুন বাস চালু করতে চাইলে বিআরটিসির অনুমোদন লাগে। কিন্তু বিআরটিসির রুট পারমিটের প্রয়োজন নেই। তারা চাইলে নামিয়ে নিতে পারে। তবে বেসরকারি মালিক-শ্রমিকদের বাধার কারণে অনেক রুটেই চালু করা যায়নি। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে রুটটি চালু করতে আগ্রহী জনপ্রতিনিধিরা।

এদিকে, পদ্মা সেতু চালুর পর বেসরকারি পরিবহন কোম্পানিগুলোও নতুন বাস চালু করতে চাইছে। এর মধ্যে শরীয়তপুরের একটি নতুন কোম্পানি পাঁচটি রুটে বাস নামানোর জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আবেদন করেছে। বৃহস্পতিবার কমিশনারের কার্যালয়ে এ নিয়ে বৈঠকও হয়। শরীয়তপুরের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে। বিআরটিএ বাসের রুট প্রদান এবং ভাড়া নির্ধারণের জন্য দায়ী।

বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, গাবতলী থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলকারী একাধিক বাস কোম্পানি পদ্মা সেতু জুড়ে বাস চলাচলে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে তাদের ঢাকা শহরের ওপর দিয়ে যেতে হবে। এখন পর্যন্ত বিআরটিএতে এ বিষয়ে কোনো আবেদন আসেনি। বর্তমানে মাওয়া হয়ে ১৩টি রুটে বেসরকারি বাস চলাচলের অনুমতি রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিআরটিসির বাসগুলো পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণ দিকে যাচ্ছে

আপডেট সময় ০৪:২১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি। এতদিন বিআরটিসির বাস নেই এমন প্রায় সব জেলায় বাস চালু করতে চায় সংস্থাটি। তারা পদ্মা সেতু জুড়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) এবং নন-এসি বাস পাবেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) সূত্রে জানা গেছে, বিআরটিসি বাসের নতুন রুট, যাত্রী চাহিদা এবং কয়টি বাস খালাস করতে হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে রোববার মতিঝিলে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিআরটিসি বাস ডিপো প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন। তবে ফেরি পারাপারের বাইরে বিভিন্ন রুটে ৭০ থেকে ৮০টি নতুন বাস চালুর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিআরটিসির অপারেশন বিভাগ অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাকা থেকে খুলনা ও যশোরে ফেরি রুটে ১৬ থেকে ১৮টি বাস চলাচল করে। আর বরিশাল থেকে মাদারীপুরের কাওড়াকান্দি পর্যন্ত ১৫টি বাস চলাচল করছে। ফেরি পার হয়ে এগুলো ঢাকায় আসে না। পদ্মা সেতু চালু হলে বরিশাল থেকে ঢাকা পর্যন্ত এসব বাস চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ঢাকা থেকে শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুরসহ অন্যান্য জেলায় বাস চালু করা হবে।

বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, নতুন বাস নামবে, এটা নিশ্চিত। তবে কয়টি বাস খালাস করতে হবে এবং কোন রুটে চলবে তা নিয়ে কাজ চলছে। রোববার রুটগুলো চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, বিআরটিসি পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সব জেলায় বাস চালু করার পরিকল্পনা করছে।

বিআরটিসি সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের সংসদ সদস্য ও পরিবহন শ্রমিক নেতা শাহজাহান খান বুধবার বিআরটিসিতে এসে নিজ জেলায় কোম্পানির বাস চালুর প্রস্তাব দেন। অন্যান্য জেলার জনপ্রতিনিধিরাও নিজ নিজ এলাকায় বিআরটিসির বাস চাইছেন

বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ১৯৬টি রুটে বিআরটিসি বাস চলাচল করে। এছাড়াও কোলকাতা ও আগরতলা রুটেও সংস্থাটি বাস চালায়। সব মিলিয়ে কোম্পানিটির চলাচলকারী বাসের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৪শ’টি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিআরটিসির এক কর্মকর্তা প্রথম আলো</em>কে বলেন, কোনো বেসরকারি কোম্পানি নতুন বাস চালু করতে চাইলে বিআরটিসির অনুমোদন লাগে। কিন্তু বিআরটিসির রুট পারমিটের প্রয়োজন নেই। তারা চাইলে নামিয়ে নিতে পারে। তবে বেসরকারি মালিক-শ্রমিকদের বাধার কারণে অনেক রুটেই চালু করা যায়নি। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে রুটটি চালু করতে আগ্রহী জনপ্রতিনিধিরা।

এদিকে, পদ্মা সেতু চালুর পর বেসরকারি পরিবহন কোম্পানিগুলোও নতুন বাস চালু করতে চাইছে। এর মধ্যে শরীয়তপুরের একটি নতুন কোম্পানি পাঁচটি রুটে বাস নামানোর জন্য ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আবেদন করেছে। বৃহস্পতিবার কমিশনারের কার্যালয়ে এ নিয়ে বৈঠকও হয়। শরীয়তপুরের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে। বিআরটিএ বাসের রুট প্রদান এবং ভাড়া নির্ধারণের জন্য দায়ী।

বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, গাবতলী থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলকারী একাধিক বাস কোম্পানি পদ্মা সেতু জুড়ে বাস চলাচলে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে তাদের ঢাকা শহরের ওপর দিয়ে যেতে হবে। এখন পর্যন্ত বিআরটিএতে এ বিষয়ে কোনো আবেদন আসেনি। বর্তমানে মাওয়া হয়ে ১৩টি রুটে বেসরকারি বাস চলাচলের অনুমতি রয়েছে।