০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারত সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৩:০৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৪১৯ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। সরকার টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করার বিষয়ে তার বক্তব্য স্পষ্ট করতে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি, আমরা শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা চাই। আপনি (ভারত) এ ব্যাপারে সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে গিয়ে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’

এ বক্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) যে কথাটি বলেছি, শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমাদের দেশ উন্নয়ন করছে। তার কারণে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। আমি বলেছি, বঙ্গবন্ধু বিশ্বকে একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা সবার জন্য মঙ্গলজনক। আর এ দেশে যত নাগরিক আছে, ধর্ম নির্বিশেষে তাদের সমান অধিকার রয়েছে। তিনি বাঙালি, আমাদের বাংলাদেশের নাগরিক। আর বললাম, শেখ হাসিনা সরকারে থাকলেই স্থিতিশীলতা আছে। আর স্থিতিশীলতা থাকলেই আমাদের উন্নয়নের মশাল…’

ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে যা বলেছিলাম, আপনার আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন? তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর ড. আর দ্বিতীয়ত, তিনি বলেন, বাংলাদেশ কেন সন্ত্রাসীদের হাব হবে না? এরপর আসাম, মেঘালয়—সব জেলায় (রাজ্য) আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থাকবে না। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অনুপস্থিতিতে তাদের দেশ উন্নয়নশীল। তিনি বলেন, “আমার অনেক হাসপাতাল আছে, অনেক বিনিয়োগ এখানে আসছে। যেহেতু এই আসামে এখন আমাদের কোনো সন্ত্রাসী নেই। শেখ হাসিনার কারণেই এটা হয়েছে, তার আহ্বানেই হয়েছে।

আবদুল মোমেন আরও বলেন, আমি ভারত সরকারকে বলেছি, আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শেখ হাসিনার কারণেই স্থিতিশীলতা এসেছে। স্থিতিশীলতার কারণে আমাদের দেশও ভালো হচ্ছে, আপনার দেশও ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, “সুতরাং স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ)। রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা খুব বেশি প্রয়োজন। এটা আপনাদের দেশ ও আমাদের দেশের জন্য ভালো হবে। আমরা এই এলাকায় স্থিতিশীলতা চাই। আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা চাই না। আমরা যদি তা করতে পারি তাহলে এই সোনালী অধ্যায়টি সঠিক হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি কিছু লোক সময়ে সময়ে অনেক উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। আপনার দেশে (ভারতে) কিছু দুষ্টু লোক আছে, আমার দেশেও কিছু দুষ্টু লোক আছে। তারা তিল মারল। আপনার (ভারত) সরকারের একটি দায়িত্ব থাকবে এবং আমার সরকারেরও দায়িত্ব থাকবে যাতে শ্লীলতাহানির সুযোগ তৈরি না হয়। এটা করতে পারলে আমাদের এই সম্প্রীতি থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা থাকবে না। আমি বললাম,…আমরা চাই শেখ হাসিনা স্থিতিশীল থাকুক। আপনি (ভারত) এ ব্যাপারে সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।’

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে আবদুল মোমেন বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে আমরা সবাইকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার দিতে চাই। আমি তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে চাই। আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না, আমরা অস্থিতিশীলতা দেখতে চাই না। কিন্তু আপনার মিডিয়া-টিডিয়া এই অস্থিরতা বাড়াতে প্রায়ই অনেক ভুয়া খবর দেয়। এটা খুবই দুঃখজনক. তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ বলে আমরা মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করি। দেখুন, নিয়ন্ত্রণ? যতদিন জনজীবনে আছি নিশ্চয়ই মিডিয়া এ নিয়ে গল্প করবে। কিন্তু বেশি করে মিথ্যা বললে খারাপ লাগে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব

আপডেট সময় ০৩:০৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২

শুক্রবার বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনকে চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। সরকার টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করার বিষয়ে তার বক্তব্য স্পষ্ট করতে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি বলেছি, আমরা শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা চাই। আপনি (ভারত) এ ব্যাপারে সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে গিয়ে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’

এ বক্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) যে কথাটি বলেছি, শেখ হাসিনা আছেন বলেই আমাদের দেশ উন্নয়ন করছে। তার কারণে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। আমি বলেছি, বঙ্গবন্ধু বিশ্বকে একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা সবার জন্য মঙ্গলজনক। আর এ দেশে যত নাগরিক আছে, ধর্ম নির্বিশেষে তাদের সমান অধিকার রয়েছে। তিনি বাঙালি, আমাদের বাংলাদেশের নাগরিক। আর বললাম, শেখ হাসিনা সরকারে থাকলেই স্থিতিশীলতা আছে। আর স্থিতিশীলতা থাকলেই আমাদের উন্নয়নের মশাল…’

ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে যা বলেছিলাম, আপনার আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন? তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর ড. আর দ্বিতীয়ত, তিনি বলেন, বাংলাদেশ কেন সন্ত্রাসীদের হাব হবে না? এরপর আসাম, মেঘালয়—সব জেলায় (রাজ্য) আর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থাকবে না। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অনুপস্থিতিতে তাদের দেশ উন্নয়নশীল। তিনি বলেন, “আমার অনেক হাসপাতাল আছে, অনেক বিনিয়োগ এখানে আসছে। যেহেতু এই আসামে এখন আমাদের কোনো সন্ত্রাসী নেই। শেখ হাসিনার কারণেই এটা হয়েছে, তার আহ্বানেই হয়েছে।

আবদুল মোমেন আরও বলেন, আমি ভারত সরকারকে বলেছি, আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, শেখ হাসিনার কারণেই স্থিতিশীলতা এসেছে। স্থিতিশীলতার কারণে আমাদের দেশও ভালো হচ্ছে, আপনার দেশও ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, “সুতরাং স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ)। রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা খুব বেশি প্রয়োজন। এটা আপনাদের দেশ ও আমাদের দেশের জন্য ভালো হবে। আমরা এই এলাকায় স্থিতিশীলতা চাই। আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা চাই না। আমরা যদি তা করতে পারি তাহলে এই সোনালী অধ্যায়টি সঠিক হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছি কিছু লোক সময়ে সময়ে অনেক উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। আপনার দেশে (ভারতে) কিছু দুষ্টু লোক আছে, আমার দেশেও কিছু দুষ্টু লোক আছে। তারা তিল মারল। আপনার (ভারত) সরকারের একটি দায়িত্ব থাকবে এবং আমার সরকারেরও দায়িত্ব থাকবে যাতে শ্লীলতাহানির সুযোগ তৈরি না হয়। এটা করতে পারলে আমাদের এই সম্প্রীতি থাকবে। আমাদের মধ্যে কোনো অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা থাকবে না। আমি বললাম,…আমরা চাই শেখ হাসিনা স্থিতিশীল থাকুক। আপনি (ভারত) এ ব্যাপারে সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।’

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে আবদুল মোমেন বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে আমরা সবাইকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাবার দিতে চাই। আমি তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে চাই। আমরা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না, আমরা অস্থিতিশীলতা দেখতে চাই না। কিন্তু আপনার মিডিয়া-টিডিয়া এই অস্থিরতা বাড়াতে প্রায়ই অনেক ভুয়া খবর দেয়। এটা খুবই দুঃখজনক. তিনি আরও বলেন, কেউ কেউ বলে আমরা মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করি। দেখুন, নিয়ন্ত্রণ? যতদিন জনজীবনে আছি নিশ্চয়ই মিডিয়া এ নিয়ে গল্প করবে। কিন্তু বেশি করে মিথ্যা বললে খারাপ লাগে।