সিলগালা নির্বাচন চাই না, তাই ইভিএম চাই: ওবায়দুল কাদের
- আপডেট সময় ০৩:০৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২
- / ১৬০০ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা সিলগালা নির্বাচন চাই না, তাই ইভিএম চাই। কাদের বলেন, যারা সিল মারার লড়াইয়ে অভ্যস্ত, যারা নির্বাচনকে কেন্দ্রীয় দখল, ব্যালট পেপারে সিল মারা, নির্বাচনকে ভোট কারচুপি, ভোট কারচুপি, তারা ইভিএম সমর্থন করে না। আমি বিএনপির কথা বলছি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউর এ ব্লকের অডিটোরিয়ামে বিএসএমএমইউ শাখা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের ভোটেই সরকার পরিবর্তন হবে। আমরা জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। আগামীতে জনগণের ভোটে আবারও ক্ষমতায় আসতে চাই।
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণই আমাদের ক্ষমতার উৎস। জনগণ ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত না করলে আমরা চলে যাব। আমরা কারো দয়া বা নির্বাচন কমিশনের ইভিএম দেখে রাজনীতি করি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব সরকার পরিবর্তন করতে চাইলে তিনি সরাসরি বলেছেন, স্পষ্ট বক্তব্য হলো তাকে নির্বাচনে আসতে হবে, সরকার পরিবর্তনের আর কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন ছাড়া।” তিনি বলেন, “এই ইভিএমে অনেক স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। সেগুলো কি প্রশ্নবিদ্ধ ছিল? আমাকে বলুন? এটা সিটি করপোরেশনেও হয়েছে, সিলেটেও হয়েছে, বরিশালে হয়েছে, কুমিল্লায় হয়েছে। কেউ কি? কোন প্রশ্ন আছে আমরা জালিয়াতি মুক্ত এবং কারচুপি মুক্ত।’
বিএনপির মনে আসলে কী আছে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা একদিকে বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচনে আসবে না, অন্যদিকে বলছেন ইভিএম আসবে না, আসে না। ইভিএম চাই। তাহলে নির্বাচন কমিশন সংলাপে গেল না কেন?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি পদ্মা সেতুতে হেলে পড়েছে। এক পদ্মা সেতুতে তোমার বুকের ব্যাথা বেড়েছে। সামনে মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ আরও অনেক প্রকল্প।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য মোঃ শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ব্যর্থ হয়। শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা মেডিকেল কাউন্সিলের সভাপতি এম ইকবাল আর্সলান, বিএমএ ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কামরুল হাসান, স্বাচিপ মহাসচিব এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. . বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জাহিদ হোসেন, সার্জারি অনুষদের ডিন মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা স্বাচিপের আহ্বায়ক আবু নাসার রিজভী। সভা সঞ্চালনা করেন বিএসএমএমইউ শাখা স্বাচিপের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম জাওয়ারদার।