১১৮ জন ধর্মীয় বক্তার আর্থিক লেনদেন তদন্ত করে পিছু হটে দুদক
- আপডেট সময় ০৪:২৬:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
- / ৯৫০ বার পড়া হয়েছে
১১৮ জন আলেম ও ধর্মীয় বক্তার সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তদন্তের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে গণকমিশনে জমা দেওয়া ২ হাজার ২১৫ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র পরীক্ষা করার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির উপস্থাপিত সারসংক্ষেপ পর্যালোচনা করে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে কমিশন সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ বিষয়ে প্রথম আলোর অনলাইন ও আজকের পত্রিকায় ‘১১৮ জন ধর্মীয় বক্তার আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করছে নমল দুদক’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ১১৬ জন ধর্মীয় বক্তার সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে গণকমিশনের অভিযোগ আমলে নিয়েছে।
অভিযোগ তদন্তে দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। অপর দুই কর্মকর্তা হলেন দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও মোঃ আহসানুল কবির। এ সংক্রান্ত সরকারি চিঠিও দেওয়া হয়েছে তিন কর্মকর্তাকে।
২১ জুন তিন কর্মকর্তার কাছে দুদকের অফিসিয়াল চিঠিতে বলা হয়েছে, “… কমিশন তদন্তের অনুমোদন ও গ্রহণ করার জন্য বিশেষ তদন্ত ও তদন্ত শাখা থেকে মহাপরিচালকের (বিশেষ তদন্ত) কাছে তিন সদস্যের একটি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
দুপুরে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে জরুরি ব্রিফিং দেন কমিশনের সচিব মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, কমিশনে প্রাপ্ত অভিযোগের পরীক্ষায় দুর্নীতির কোনো উপাদান বা তথ্য পাওয়া গেলে এবং তা কমিশন আইনের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত হলে তা অধিকতর তদন্তের অনুমোদনের জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হয়। খুনি দালাল নির্মূল কমিটির শ্বেতপত্র ২ হাজার ২১৫ পৃষ্ঠার হওয়ায় তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অভ্যন্তরীণ কমিটি করা হয়েছে।
কমিটিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বা কমিশন তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়নি। কমিটি ধর্মীয় বক্তা বা আলেমদের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম শুরু করবে না।
কমিশনের সচিব বলেন, কমিশন ১১৮ জন আলেমের আর্থিক লেনদেন তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় জনগণের মনে বিভ্রান্তির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিভ্রান্তি দূর করতে সবার অবগতির জন্য আসল বিষয়টি তুলে ধরা হলো।
এ বিষয়ে কমিশনের অফিস আদেশের চিঠির উল্লেখ করে সাংবাদিকরা সচিবকে প্রশ্ন করেন, ই-নথিতে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা এখনো কমিশনের সার্ভারে রয়েছে। এটা অস্বীকার কিভাবে? জবাবে সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ই-ডকুমেন্ট কমিশনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা আপনার জানার জন্য নয়। এটা কিভাবে যায় আমরা দেখব. “
এরপর আর কোনো প্রশ্ন না করেই ব্রিফিং শেষ করেন কমিশন সচিব।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, পিপলস কমিশন ফর দ্য ইলিমিনেশন অব কিলার অব 1971 এবং পিপলস কমিশন ফর দ্য ইনভেস্টিগেশন অব র্যাডিক্যাল অ্যান্ড সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন 118 জন ধর্মীয় বক্তার আর্থিক লেনদেন তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংখ্যালঘুদের অধিকারের জন্য।
দুদক সূত্র জানায়, দুর্নীতির যে কোনো অভিযোগ দাখিলের পর সাধারণত কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলে যায়। সেলের প্রধান হলেন মহাপরিচালক একেএম সোহেল এবং দ্বিতীয় প্রধান হলেন পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডল। দৈনিক এবং সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলের বিভিন্ন স্তরে ছয়জন কর্মকর্তা এবং 20 জন কর্মী রয়েছে যারা অভিযোগের তালিকা করতে যাচাই ও নির্বাচন কমিটির (JABAC) সাথে সহযোগিতা করে। মূলত, যাচাই-বাছাই কমিটিতে স্ট্যান্ডার্ড পাস করার সাথে সাথেই অনুমোদনের জন্য কমিশনে অভিযোগ পাঠানো হয়। তিন সদস্যের বাছাই কমিটির আহ্বায়ক হলেন মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, সদস্য সচিব পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডল ও সদস্য উপ-পরিচালক ইমরুল কায়েস।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাচাই-বাছাই কমিটির পক্ষ থেকে ১১৮ জন ধর্মীয় বক্তার আর্থিক লেনদেন তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটি দৈনিক এবং সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি দল গঠন করে এবং একজন মহাপরিচালককে (বিশেষ তদন্ত) বিশেষ দায়িত্ব দেয়। পুরো প্রক্রিয়াটি কমিশনের ই-নথিতে রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নজরে এলে কমিশন তদন্তের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। কমিশন সাধারণত দুপুর দুইটার পর সংবাদ ব্রিফিং করে। কিন্তু আজ বিকেলে জরুরি ভিত্তিতে ব্রিফিং করা হয়।
এ বিষয়ে কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা কথা বলতে রাজি হননি। তবে কো