২২ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বাকিদের ডিএনএ পরীক্ষা শুরু হয়েছে
- আপডেট সময় ০৬:০৩:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২
- / ১৪০০ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি বেসরকারি বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২২ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লাশগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হস্তান্তর করে।
সোমবার সকালে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই ২২ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় এজেন্সির ফরেনসিক বিভাগ মৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা শুরু করে। পরিচয়ের পর লাশ হস্তান্তর করা হবে।
মৃতদেহ হস্তান্তরকারী ২২ জন হলেন হাবিবুর রহমান (২৩), রবিউল ইসলাম (১৯), মমিনুল হক (২৪), মহি উদ্দিন (২২), তোফায়েল ইসলাম (২২), আফজাল হোসেন, মো. সুমন (২৬), ইব্রাহিম। হোসেন (২৬), ফারুক জমাদ্দার (৫০), মোঃ হারুন (৫৫), মোঃ নয়ন (২২), শাহাদাত হোসেন (২৯), শাহাদাত উল্লাহ মজুমদার, মোঃ রিদুয়ান (২৫), রানা মিয়া, তহিদুল হাসান, নাজিমউদ্দিন রুবেল। , নিপন চাকমা, মিতু দেওয়ান, আলা উদ্দিন (৩৫), শাকিল তরফদার ও মোঃ মনিরুজ্জামান (২২)।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে মোট ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪১ জনের মরদেহ চমেক হাসপাতালে রয়েছে। বাকি আটজনের মরদেহ বিভিন্ন হাসপাতালে রয়েছে। ২২ জনের মরদেহ শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাকি লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চট্টগ্রাম সিআইডির অতিরিক্ত এসপি জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিখোঁজ দাবি করে স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নিখোঁজ বাবা-মা, ভাই-বোন বা সন্তানদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব লাশ শনাক্ত করা যায়নি সেগুলোর নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ২২ জনের মরদেহ শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি মরদেহ ডিএনএ পরীক্ষার পর হস্তান্তর করা হবে। তবে ডিএনএ রিপোর্ট পেতে প্রায় এক মাস সময় লাগবে। সে পর্যন্ত মরদেহগুলো মর্গে রাখা হবে। ‘
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএম ডিপোর একটি শেডে আগুন লাগলে রোববার পর্যন্ত তা জ্বলতে থাকে।
সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে কেশবপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নির্মিত বিএম কন্টেইনার ডিপো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
ডিপো থেকে একে একে লাশগুলো বের করা হয়। সময়ের সাথে সাথে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। শুরু হয় স্বজনদের ভিড়। অ্যাম্বুলেন্সের ঘনঘন সাইরেনে কেঁপে ওঠে পুরো পরিবেশ।
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কেশবপুরে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোটি মর্গে পরিণত হয়েছে।
দুর্ঘটনা তদন্তে ছয় কমিটি : বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, কারখানা ও সংস্থাপন পরিদর্শন অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।