১০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

12 কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:৩৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২
  • / ১০২৭ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

দেশে ভোক্তা পর্যায়ে আবারও বেড়েছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। এখন 12 কেজি সিলিন্ডার এলপিজি কিনতে খরচ হবে 1,254 টাকা। এত দিনে ১ হাজার ২৪২ টাকা দিতে হয়েছে। ফলে ১২ কেজি এলপিজির দাম বেড়েছে ১২ টাকা। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দাম কার্যকর হবে। আগের মাসে জুন মাসে তা কমেছিল ৯৩ টাকা।

রোববার বিকেলে এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুমে নতুন দাম ঘোষণা করেছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান। আব্দুল জলিল।

গত বছরের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে কোম্পানিটি। এরপর থেকে প্রতি মাসেই দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

বিইআরসি জানিয়েছে, সরকারি এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে। বেসরকারি খাতে গ্রাহক পর্যায়ে এলপিজির নতুন দাম প্রতি কেজি ১০৪.৫২ টাকা। এই অনুযায়ী, বিভিন্ন পরিমাণ এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হবে।

এছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজি (অটো গ্যাস) এর নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ৪৬ টাকা, যা আগে ছিল ৫৮ টাকা ৯১ পয়সা।

জানা গেছে, এলপিজি তৈরির প্রধান উপকরণ প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। সৌদি আরবের কোম্পানি আরামকো প্রতি মাসে এলপিজির এই দুটি উপাদানের দাম প্রকাশ করে। এটি সৌদি কার্গো প্রাইস (সিপি) নামে পরিচিত। সৌদি সিপির ভিত্তিতে বিইআরসি দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে।

এলপিজির নতুন দাম জীবনযাত্রার ব্যয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কতটা বেড়েছে সেটাই দেখার বিষয়। নেপাল, ভারত দাম বাড়িয়েছে। নতুন মূল্য নির্ধারণের আগে এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, সিএনজি সবই খুব আরামদায়ক

শুক্রবার বিইআরসি (গ্যাস) এর সদস্য মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিইআরসি নির্ধারিত দামে বিইআরসি বাজারে বিক্রি করছে না বলে অভিযোগের জন্য গ্রাহকরাই বেশি দায়ী। তাদের সিলিন্ডার বহন করতে সমস্যা হয়। যার জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলো ঘরে পৌঁছে দেওয়ার নামে বেশি টাকা নেয়। তিনি বলেন, এটা বলা যাবে না যে সারা দেশে বিইআরসি নির্ধারিত মূল্যে এলপিজি বিক্রি হয়। কিন্তু ভোক্তাদেরও অনেক দায়িত্ব আছে। ভোক্তারা দোকান থেকে রসিদ নিতে চান না। ক্রেতাদের অবশ্যই দোকানদারদের কাছ থেকে রসিদ নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

12 কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে

আপডেট সময় ১১:৩৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২

দেশে ভোক্তা পর্যায়ে আবারও বেড়েছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। এখন 12 কেজি সিলিন্ডার এলপিজি কিনতে খরচ হবে 1,254 টাকা। এত দিনে ১ হাজার ২৪২ টাকা দিতে হয়েছে। ফলে ১২ কেজি এলপিজির দাম বেড়েছে ১২ টাকা। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দাম কার্যকর হবে। আগের মাসে জুন মাসে তা কমেছিল ৯৩ টাকা।

রোববার বিকেলে এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম জুমে নতুন দাম ঘোষণা করেছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান। আব্দুল জলিল।

গত বছরের ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে কোম্পানিটি। এরপর থেকে প্রতি মাসেই দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

বিইআরসি জানিয়েছে, সরকারি এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকবে। বেসরকারি খাতে গ্রাহক পর্যায়ে এলপিজির নতুন দাম প্রতি কেজি ১০৪.৫২ টাকা। এই অনুযায়ী, বিভিন্ন পরিমাণ এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হবে।

এছাড়া গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজি (অটো গ্যাস) এর নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ৪৬ টাকা, যা আগে ছিল ৫৮ টাকা ৯১ পয়সা।

জানা গেছে, এলপিজি তৈরির প্রধান উপকরণ প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। সৌদি আরবের কোম্পানি আরামকো প্রতি মাসে এলপিজির এই দুটি উপাদানের দাম প্রকাশ করে। এটি সৌদি কার্গো প্রাইস (সিপি) নামে পরিচিত। সৌদি সিপির ভিত্তিতে বিইআরসি দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে।

এলপিজির নতুন দাম জীবনযাত্রার ব্যয়ের ওপর প্রভাব ফেলবে কি না জানতে চাইলে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কতটা বেড়েছে সেটাই দেখার বিষয়। নেপাল, ভারত দাম বাড়িয়েছে। নতুন মূল্য নির্ধারণের আগে এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। শিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, সিএনজি সবই খুব আরামদায়ক

শুক্রবার বিইআরসি (গ্যাস) এর সদস্য মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিইআরসি নির্ধারিত দামে বিইআরসি বাজারে বিক্রি করছে না বলে অভিযোগের জন্য গ্রাহকরাই বেশি দায়ী। তাদের সিলিন্ডার বহন করতে সমস্যা হয়। যার জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলো ঘরে পৌঁছে দেওয়ার নামে বেশি টাকা নেয়। তিনি বলেন, এটা বলা যাবে না যে সারা দেশে বিইআরসি নির্ধারিত মূল্যে এলপিজি বিক্রি হয়। কিন্তু ভোক্তাদেরও অনেক দায়িত্ব আছে। ভোক্তারা দোকান থেকে রসিদ নিতে চান না। ক্রেতাদের অবশ্যই দোকানদারদের কাছ থেকে রসিদ নিতে হবে।