০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

122 বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • / ৮৮৫ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, দেশের উত্তর ও দক্ষিণের ১০টি জেলার ৬৪টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। তিনি বলেন, সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকাগুলো ভয়াবহ সংকটে রয়েছে। বলা হয়, ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি।

শনিবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আগামী দুই দিনে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে উল্লেখ করে এনামুর রহমান বলেন, “ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে চরম মাত্রার বন্যার আশঙ্কা ঘোষণা করা হয়েছে। সে কারণে আগামী দুই দিনে আমাদের দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জে মঙ্গল ও বুধবার থেকে কমতে শুরু করবে।তবে ওই সময় দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের বন্যায় সিলেটের ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জের ৮০-৯০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। তিনি বলেন, গত দুই দিনে ওই এলাকায় পানির স্তর চার ফুট থেকে আট ফুট বেড়েছে, যা কল্পনাতীত।

এনামুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী, উপকূলরক্ষী ও নৌবাহিনী যৌথ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে এবং শনিবার (১৮ জুন) রাতের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এরই মধ্যে সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসনের তহবিলে নগদ ৬০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে, যা দিয়ে চিড়া, মুড়ি, বিস্কুটসহ শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দুই এলাকায় দেড় হাজার টন চাল পাঠানো হয়েছে। হাতে রয়েছে ৫ কোটি টাকা, সাধারণ ত্রাণ (জিআর) তহবিল থেকে আরও ২০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলেও সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

122 বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা

আপডেট সময় ০৪:০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানান, দেশের উত্তর ও দক্ষিণের ১০টি জেলার ৬৪টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। তিনি বলেন, সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকাগুলো ভয়াবহ সংকটে রয়েছে। বলা হয়, ১২২ বছরের ইতিহাসে সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জে এমন বন্যা হয়নি।

শনিবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আগামী দুই দিনে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে উল্লেখ করে এনামুর রহমান বলেন, “ভারতের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে চরম মাত্রার বন্যার আশঙ্কা ঘোষণা করা হয়েছে। সে কারণে আগামী দুই দিনে আমাদের দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জে মঙ্গল ও বুধবার থেকে কমতে শুরু করবে।তবে ওই সময় দেশের মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের বন্যায় সিলেটের ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ। সুনামগঞ্জের ৮০-৯০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। তিনি বলেন, গত দুই দিনে ওই এলাকায় পানির স্তর চার ফুট থেকে আট ফুট বেড়েছে, যা কল্পনাতীত।

এনামুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী, উপকূলরক্ষী ও নৌবাহিনী যৌথ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে এবং শনিবার (১৮ জুন) রাতের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এরই মধ্যে সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসনের তহবিলে নগদ ৬০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে, যা দিয়ে চিড়া, মুড়ি, বিস্কুটসহ শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দুই এলাকায় দেড় হাজার টন চাল পাঠানো হয়েছে। হাতে রয়েছে ৫ কোটি টাকা, সাধারণ ত্রাণ (জিআর) তহবিল থেকে আরও ২০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলেও সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে।