সীতাকুণ্ডে ৪৭ না ৪১ জন নিহত?
- আপডেট সময় ০৪:৪৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২
- / ১৩২৩ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছে। কেউ বলেছেন 49, কেউ বলেছেন 48 এবং কেউ বলেছেন 41 মারা গেছেন।
রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মৃতের সংখ্যা ৪৯ বলে জানিয়েছেন। তাকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। গতকাল রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় আবারও ফেসবুকে মৃতের সংখ্যা ৪৭ জনের কথা জানায়।
জেলা প্রশাসক জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় নিহতের সংখ্যা ৪৫ ছিল। কিছুক্ষণ পরে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে 47 এ পৌঁছেছে, তিনি বলেছিলেন। রাতে জেলা প্রশাসক জানান, ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। তারপর বিস্ফোরণ হয়। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল পুলিশ ও পুলিশের বিশেষ শাখা সেখানে মৃত্যুর রেকর্ড রাখছিল। রবিবার সকালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে 15 এ দাঁড়িয়েছে। বিকেল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। বিকেল ৫টার দিকে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, মৃতের সংখ্যা ৪৯। তাকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান হাসপাতালের বাইরে একটি অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জানান, ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে কিছুক্ষণ পর তারা এক থেকে ৪৭ জনে উন্নীত হয়। রাত ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার প্লাবন কুমার বিশ্বাসকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। পরে রাতে, সিভিল সার্জন অফিস ফেসবুকে পুনরায় রিপোর্ট করে যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে 46 হয়েছে।
শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর ভেতরে আগুন লেগে প্রায় আড়াই বর্গকিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে নয়জন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য।
নিহতদের মধ্যে ডিপোর কর্মকর্তা ও পরিবহন শ্রমিক রয়েছে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যসহ দুই শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। পা হারিয়েছেন এক পুলিশ সদস্য।
গুরুতর আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে। তাদের ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।