৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শিমুলিয়া থেকে জাজিরা ফেরি চলাচল শুরু হয়
- আপডেট সময় ০৫:৫৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২
- / ৯০৪ বার পড়া হয়েছে
৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। পদ্মা নদীর শরীয়তপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে স্রোত ও ঢেউ বেড়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) গতকাল রাতে নৌপথের টার্নিং পয়েন্টে প্রবল স্রোত ও উত্তালতার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। নদীর স্রোত ও ঘূর্ণন না কমলেও নৌপথের দুই ঘাটে অন্তত এক হাজার যানবাহন আটকে থাকায় আজ সকাল থেকে ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। আজ সকাল থেকে এই নৌপথে পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলো</em>কে বলেন, নদীতে প্রবল স্রোত ছিল। রাতে ফেরি চলাচলে অপারগতা প্রকাশ করায় গত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে দুই ঘাটে আটকে আছে অসংখ্য যানবাহন। ফেরি চলাচল বন্ধ হলে দুর্ভোগ বাড়বে। এ কারণে বিআইডব্লিউটিসি নৌপথ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে ফেরি চলাচল শুরু করেছে মাস্টাররা।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথে আটটি ফেরি চলাচল করে। পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের কারণে গত শনিবার সকাল থেকে দুটি ডাম্প ফেরি ও একটি ছোট ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া স্রোতের কারণে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নৌপথের জাজিরা টার্নিংয়ে বেগম সুফিয়া কামাল ও ফেরি বেগম রোকেয়ার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এক চালক নিহত হন। অপর চালক নিখোঁজ রয়েছে। এরপর ওই নৌপথে বেগম রোকেয়া ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রোববার রাতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় জাজিরার সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝি ঘাটে আটকা পড়ে ছয় শতাধিক যানবাহন। শিমুলিয়া ঘাটে চার শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৬টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরিটি ছেড়ে যায়।
জাজিরা ঘাটে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মুজাহিদুল ইসলাম প্রথম আলো</em>কে বলেন, রাতে ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে ৬ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। তীব্র যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। আজ সকাল থেকে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় যানবাহন চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসির অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আহমেদ আলী প্রথম আলো</em>কে বলেন, জাজিরার মাঝিকান্দা টার্নিং এবং পদ্মা সেতুর টার্নিং পয়েন্টে সিনোহাইড্রো জেটির কাছে অতিরিক্ত ঘূর্ণন ছিল।
সেখানে ফেরি রাখা হচ্ছে না। তাই রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন, তাই ঝুঁকি নিয়ে ফেরি চালাতে হচ্ছে। তবে কোনো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।