১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

পদ্মা সেতু হয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে বাস চলাচল করেছে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
  • / ১৬৪৬ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

পদ্মা সেতু হয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে আন্তর্জাতিক বাস সার্ভিস চালু করেছে গ্রীন লাইন পরিবহন। এই পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সৌহার্দ্য যাত্রা’। বুধবার বেলা ১টার দিকে ভারতের কলকাতার নিউ মার্কেটের পার্ক স্ট্রিট থেকে একটি গ্রিন লাইন বাস ছাড়ে। বেলা ১১টার দিকে বাসটি শরীয়তপুরের পদ্মা সেতুর জাজিরা পাশের নাওডোবা টোল প্লাজায় এসে পৌঁছায়। পরে বাসটি ঢাকায় পৌঁছায়। পদ্মা সেতু দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মানিক লাল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার পূর্বপুরুষদের জন্মভূমি। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক আত্মীয়-স্বজন থাকেন। শেকড় নিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল কঠিন ও দুর্ভোগ। রাতে যখন বাসে করে পদ্মা সেতু পার হলাম, খুব খুশি হলাম। আমাদের গঙ্গা থেকে পদ্মা নদী প্রবাহিত হয়। সোহানুর রহিম ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকেন। ২০শে জুন তিনি চিকিৎসার কাজে কলকাতা যান। তিনি বিমানে গেলেও গ্রীন লাইনের বাসে আসেন। সোহানুর প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতু পার হয়ে কলকাতা থেকে সরাসরি বাসে ঢাকায় আসেন। পদ্মা সেতু পার হওয়ার সময় মনে একটা অন্যরকম অনুভূতি এলো। নিজের টাকায় নিজেদের সেতু করে সে এক অন্যরকম আনন্দ।

কলকাতা থেকে ঢাকায় আসা বাসের মালিক, চালক ও ব্যবস্থাপক সবাই ভারতীয় নাগরিক। পরিবহনের ব্যবস্থাপক বিজয় কৃষ্ণ দাস বিডি ওপেন নিউজকে বলেন, আগে ফেরি টার্মিনালে গাড়িতে করে ঢাকায় যেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগত। আর এখন পদ্মার মতো বিশাল নদী পাড়ি দিতে পারি। মাত্র আট মিনিটে পদ্মা নদী পার হতে পেরে আমরা খুশি। যোগাযোগ খাতে এমন পরিবর্তন আনার জন্য ভারতীয়দের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।

নিউজটি শেয়ার করুন

পদ্মা সেতু হয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে বাস চলাচল করেছে

আপডেট সময় ০৫:০২:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

পদ্মা সেতু হয়ে কলকাতা-খুলনা-ঢাকা রুটে আন্তর্জাতিক বাস সার্ভিস চালু করেছে গ্রীন লাইন পরিবহন। এই পরিষেবার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সৌহার্দ্য যাত্রা’। বুধবার বেলা ১টার দিকে ভারতের কলকাতার নিউ মার্কেটের পার্ক স্ট্রিট থেকে একটি গ্রিন লাইন বাস ছাড়ে। বেলা ১১টার দিকে বাসটি শরীয়তপুরের পদ্মা সেতুর জাজিরা পাশের নাওডোবা টোল প্লাজায় এসে পৌঁছায়। পরে বাসটি ঢাকায় পৌঁছায়। পদ্মা সেতু দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মানিক লাল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আমার পূর্বপুরুষদের জন্মভূমি। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক আত্মীয়-স্বজন থাকেন। শেকড় নিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল কঠিন ও দুর্ভোগ। রাতে যখন বাসে করে পদ্মা সেতু পার হলাম, খুব খুশি হলাম। আমাদের গঙ্গা থেকে পদ্মা নদী প্রবাহিত হয়। সোহানুর রহিম ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে থাকেন। ২০শে জুন তিনি চিকিৎসার কাজে কলকাতা যান। তিনি বিমানে গেলেও গ্রীন লাইনের বাসে আসেন। সোহানুর প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতু পার হয়ে কলকাতা থেকে সরাসরি বাসে ঢাকায় আসেন। পদ্মা সেতু পার হওয়ার সময় মনে একটা অন্যরকম অনুভূতি এলো। নিজের টাকায় নিজেদের সেতু করে সে এক অন্যরকম আনন্দ।

কলকাতা থেকে ঢাকায় আসা বাসের মালিক, চালক ও ব্যবস্থাপক সবাই ভারতীয় নাগরিক। পরিবহনের ব্যবস্থাপক বিজয় কৃষ্ণ দাস বিডি ওপেন নিউজকে বলেন, আগে ফেরি টার্মিনালে গাড়িতে করে ঢাকায় যেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগত। আর এখন পদ্মার মতো বিশাল নদী পাড়ি দিতে পারি। মাত্র আট মিনিটে পদ্মা নদী পার হতে পেরে আমরা খুশি। যোগাযোগ খাতে এমন পরিবর্তন আনার জন্য ভারতীয়দের পক্ষ থেকে আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।