বিক্রেতারা গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম বাড়াচ্ছেন
- আপডেট সময় ০২:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
- / ১৪৩৮ বার পড়া হয়েছে
গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতি কুইন্টাল গরুর দাম ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা বেশি দাবি করা হচ্ছে। দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের একটি ছোট গরু, যা গত বছর 60,000 থেকে 75,000 টাকায় বিক্রি হয়েছিল, এখন 80,000 থেকে 90,000 টাকায় দাবি করা হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে গবাদি পশুর খাদ্যের দাম বৃদ্ধি। গরুর মাংসের দামও বেশি। বিশ্বের বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও ধাপে ধাপে বেড়েছে। কোরবানির বাজারে সবকিছুরই সম্মিলিত প্রভাব রয়েছে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট এবং দক্ষিণ সিটি এলাকার সারুলিয়া স্থায়ী পশুর হাটে ইতোমধ্যে গরু-ছাগল বিক্রি শুরু হয়েছে। এ ছাড়া এবার রাজধানীতে ১৯টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানো হবে। এর মধ্যে ১০টি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় এবং ৯টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায়। আগামী ৮ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গরু-ছাগল বিক্রি শুরু হবে। চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।
শনিবার রাজধানীর গাবতলী স্থায়ী গরুর হাটে গত বছরের চেয়ে বেশি দামে গরু বিক্রি হয়েছে। ছাগলও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।
শহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের গরুর পাইকার। তিনি আড়াই থেকে পাঁচ কেজি ওজনের আটটি ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বাজারে নিয়ে আসেন। তারা প্রতিটি গরুর জন্য ৯০ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাচ্ছেন। এর মধ্যে তিনি আড়াই কেজি ওজনের দুটি গরু ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এক বছরে গরুর মাংসের দাম কেজিতে প্রায় ১৩০ টাকা বেড়েছে। শুধু এক আউন্স (৪০ কেজি) মাংসের দাম পাঁচ হাজার টাকার বেশি। সেই সঙ্গে বেড়েছে গো-খাদ্য ও মানুষের খাবারের দামও। সব মিলিয়ে স্থানীয় বাজারে গরুর দাম বেশি।
কুষ্টিয়ার পাইকারি বিক্রেতা নাসির হোসেন। গাবতলী হাটে তার ৭২টি গরু রয়েছে। আকারের দিক থেকে তার প্রতিটি গরুর ওজন আড়াই থেকে সাত পাউন্ড। এসব গরুর জন্য তিনি ৯০ থেকে ২ লাখ টাকা চাইছেন। কয়েক হাজার টাকা কম বিক্রি হচ্ছে। আর ১০ পাউন্ড ওজনের কিছু গরুর জন্য তিন লাখ টাকার বেশি চাইছেন তিনি।
এক বছরে গরুর মাংসের দাম কেজিতে প্রায় ১৩০ টাকা বেড়েছে। শুধু এক আউন্স (৪০ কেজি) মাংসের দাম পাঁচ হাজার টাকার বেশি। সেই সঙ্গে বেড়েছে গো-খাদ্য ও মানুষের খাবারের দামও। সব মিলিয়ে স্থানীয় বাজারে গরুর দাম বেশি।
কুষ্টিয়ার পাইকারি বিক্রেতা নাসির হোসেন। গাবতলী হাটে তার ৭২টি গরু রয়েছে। আকারের দিক থেকে তার প্রতিটি গরুর ওজন আড়াই থেকে সাত পাউন্ড। এসব গরুর জন্য তিনি ৯০ থেকে ২ লাখ টাকা চাইছেন। কয়েক হাজার টাকা কম বিক্রি হচ্ছে। আর ১০ পাউন্ড ওজনের কিছু গরুর জন্য তিন লাখ টাকার বেশি চাইছেন তিনি।
টিসিবির বাজার মূল্য তালিকা অনুযায়ী, গত এক দশকে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৩৯০ টাকা বেড়েছে। ২০১৩ সালের জুন মাসে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ২৬৫ টাকা কেজি। আর চলতি বছরের জুনে তা বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকায়। অর্থাৎ গত ১০ বছরে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ২৪১ দশমিক ৮২ শতাংশ বা প্রায় আড়াই গুণ। তবে রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২০ সালের কৃষি শুমারি অনুযায়ী, এক দশকে দেশে গরুর সংখ্যা বেড়েছে। শুমারি অনুযায়ী গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখ ১৪ হাজার ১৪৪টি। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৫৬ হাজার ৭৫৩। এক দশকে গরুর সংখ্যা বেড়েছে ৪০ লাখের বেশি।
কোরবানিকে সামনে রেখে গরুর দামে বড় ধরনের পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন পাইকাররা। কারণ, বাজারে দাম তুলনামূলক বেশি। এ ছাড়া কিছু বিক্রেতা বা কৃষক কোরবানি উপলক্ষে দাম একটু বাড়াতে চাইতে পারেন।
কুষ্টিয়ার কালু ডিলার BD OPEN NEWS
বলেন, মানুষের খাবার ও গরুর মাংস দুটোই বেশি দামি। গত বছর ১ বস্তা ৫০ কেজি ধান ছিল ৪৫০ টাকা। এবার তা হয়েছে ৬০০ টাকা। 1,100 টাকা দামের 20 কেজি ভুট্টার 1 প্যাকেট এখন 1,600 টাকা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কোরবানী হাটের জন্য সরবরাহ করা গবাদি পশুর সংখ্যা দুই লাখের বেশি হয়েছে। এ বছর গরু, ছাগল, ভেড়া ও উটসহ ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৯টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছর কোরবানির পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ১৭ হাজার ৮৫টি। এর মধ্যে কোরবানি হয়েছে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি। বিক্রি হয়নি প্রায় ২৬ লাখ গবাদিপশু।