বাস ডাকাতি ও ধর্ষণ মামলার আরও চার আসামির জবানবন্দি
- আপডেট সময় ০৪:০১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অগাস্ট ২০২২
- / ১২৯২ বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়া থেকে ঈগল এক্সপ্রেস বাসে ছিনতাই ও গণধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ১০ আসামির মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা জবানবন্দি দেন। বাকি ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত রোববার রাতে এই ১০ জনকে আটক করে র্যাব। পরে সোমবার রাতে তাদের টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে এ মামলার সাত আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দি দেওয়া চার আসামি হলেন- আসলাম তালুকদার (১৯), রাসেল তালুকদার (২৫), নাঈম সরকার (১৯) ও আলাউদ্দিন (২৪)।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। তারা জানান, বাসের ওই নারী যাত্রীকে দুইবার রাজা মিয়া এবং একবার রতন, আউয়াল, নূরনভী ও মান্নান ধর্ষণ করে।
টাঙ্গাইল আদালতের পরিদর্শক তানবীর আহমেদ জানান, জবানবন্দি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে মাহমুদুল হাসান ওরফে মুন্না ওরফে রতন (২২), আবদুল মান্নান (২০), বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস (২১), মো: সোহাগ (১৯), জীবন প্রামানিক (২০) ও খন্দকার হাসমত আলী ওরফে দীপু (২৩)কে আদালতে হাজির করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের বিচারক ফারজানা হাসানাত তিনজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২ আগস্ট কুষ্টিয়া দৌলতপুর থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেস নামের একটি বাস সিরাজগঞ্জে পৌঁছালে ডাকাতরা গাড়িতে উঠে। টাঙ্গাইল পার হওয়ার পর অস্ত্রের মুখে বাসটি নিয়ন্ত্রণে নেয় তারা। পরে তারা যাত্রীদের টাকা, মোবাইল ফোন, গয়নাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে। এ সময় বাসের এক নারী যাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন। পরে বাসটি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়।
ওই বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে ৩ আগস্ট মধুপুর থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা করেন। ৪ আগস্ট ভোররাতে ভাড়াটিয়া থেকে ডাকাত দলের সদস্য বাসচালক রাজা মিয়াকে আটক করে পুলিশ। বাড়ি টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকায়। ৫ আগস্ট (শুক্রবার) গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে মো. আউয়াল ও নূরনবীকে গ্রেফতার করা হয়। গত শনিবার এই তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।