০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

দুই দিনে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া সাত জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২
  • / ৭০৬ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার ডুবে দুই দিনে নিখোঁজ সাত জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া চ্যানেল থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধারের পর রোববার আরও পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এক জেলে।

নিহত জেলেদের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তির একটি ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায় ১৯ জেলে। শুক্রবার বিরূপ আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল হয়ে উঠলে ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরছিলেন নাবিকরা। ফেরার পথে উপকূল থেকে চার নটিক্যাল মাইল দূরে ফারারচর এলাকায় উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি দুপুরের দিকে ডুবে যায়। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আট জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে। পরে অন্য মাছ ধরার ট্রলারে সাঁতার কাটলে তিন জেলে জীবিত অবস্থায় উপকূলে আসে। নিখোঁজ হয়েছেন আট জেলে।

আজ সকালে বঙ্গোপসাগরের নাজিরা টেক পয়েন্ট থেকে আজিজুল হক, হোচেন আহমেদ ও নুরুল আবছার নামে তিন জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপকূলে আনোয়ার হোসেন ও নুরুল ইসলামের মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। গতকাল দুপুরে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেল থেকে মোহাম্মদ তৈয়ব ও সাইফুল ইসলাম নামে আরও দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন BD OPEN NEWS

বলেন, শুক্রবার বিকেলে সাগরে ট্রলার ডুবিতে আট জেলে নিখোঁজ হন। এর মধ্যে শনিবার ও রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে সাত বন্দির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খোরশেদ আলম নামে এক জেলে বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সাগরে অতিরিক্ত নৌযান চালিয়ে নিখোঁজ কারাগারের সন্ধান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুই দিনে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া সাত জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে

আপডেট সময় ০২:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলার ডুবে দুই দিনে নিখোঁজ সাত জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া চ্যানেল থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধারের পর রোববার আরও পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এক জেলে।

নিহত জেলেদের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তির একটি ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায় ১৯ জেলে। শুক্রবার বিরূপ আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল হয়ে উঠলে ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফিরছিলেন নাবিকরা। ফেরার পথে উপকূল থেকে চার নটিক্যাল মাইল দূরে ফারারচর এলাকায় উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি দুপুরের দিকে ডুবে যায়। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আট জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে। পরে অন্য মাছ ধরার ট্রলারে সাঁতার কাটলে তিন জেলে জীবিত অবস্থায় উপকূলে আসে। নিখোঁজ হয়েছেন আট জেলে।

আজ সকালে বঙ্গোপসাগরের নাজিরা টেক পয়েন্ট থেকে আজিজুল হক, হোচেন আহমেদ ও নুরুল আবছার নামে তিন জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপকূলে আনোয়ার হোসেন ও নুরুল ইসলামের মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। গতকাল দুপুরে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেল থেকে মোহাম্মদ তৈয়ব ও সাইফুল ইসলাম নামে আরও দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন BD OPEN NEWS

বলেন, শুক্রবার বিকেলে সাগরে ট্রলার ডুবিতে আট জেলে নিখোঁজ হন। এর মধ্যে শনিবার ও রবিবার বিকেল ৫টার মধ্যে সাত বন্দির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খোরশেদ আলম নামে এক জেলে বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সাগরে অতিরিক্ত নৌযান চালিয়ে নিখোঁজ কারাগারের সন্ধান চলছে।