০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

10 টার মধ্যে বিছানায় যেতে চিঠি, 2 ব্যাংক কর্মকর্তাদের সমবেদনা

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ১১২৪ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় রূপালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে রাত ১০টার মধ্যে ঘুমাতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়েছে। সকাল ৯টার মধ্যে তাকে কর্মস্থলে পৌঁছানোর সুবিধার্থে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

কিন্তু শাখা ব্যবস্থাপক জানান, তিনি চিঠি দেননি। তা ছাড়া চিঠিতে ব্যবহৃত স্বাক্ষরটি তার নয়। সহকর্মীরা মজা করার জন্য এটি করেছে।

গতকাল কাশিয়ানী উপজেলার জয়নগর শাখার ব্যবস্থাপক মো. মফিজুর রহমান নামে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামকে ওই চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিটি পাঠিয়েছেন শহিদুল ইসলামের সহকর্মী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্বপন সিকদার। তারা দুজনেই হতবাক হয়ে যান কারণ চিঠিতে ব্যাঙ্কের সিল এবং ম্যানেজারের নাম ব্যবহার করা হয়েছিল যা একটি রসিকতা হিসাবে পাঠানো হয়েছিল। তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মফিজুর রহমানBD OPEN NEWS

কে বলেন, ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শহিদুলকে তামাশা হিসেবে চিঠিটি পাঠিয়েছেন। তারা দুই ব্যাচমেট এবং ব্যাংকের পাশে একই বাড়িতে থাকেন। নতুন কর্মকর্তা হওয়ায় তারা জেনেশুনে এসব করেননি। তারা চিঠি লিখে নিজেদের মেসেঞ্জার গ্রুপে দিয়েছে। সেখান থেকে চিঠিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

মফিজুর রহমান আরও বলেন, ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপকরা গোল সিল ব্যবহার করেন না। তা ছাড়া স্বাক্ষরটি তার নয়। ব্যাংকের সিল ব্যবহার ও শাখা ব্যবস্থাপকের উদ্ধৃতি লেখায় শহিদুল ও স্বপনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রেরিত চিঠিতে রসিকতা করে বলা হয়েছে, “উপরের বিষয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মেমো নম্বর DOS-31 অনুযায়ী, জনাব মোঃ শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র অফিসার, এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, আপনার সুবিধার্থে আপনাকে রাত ১০টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকিং কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সকাল ৯টায় কর্মস্থলে উপস্থিতি।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম ফোনেBD OPEN NEWS

বলেন, “আমার বন্ধু এবং ব্যাচমেট আমাকে কৌতুক হিসেবে চিঠিটি দিয়েছিল। কৌতূহলবশত আমি চিঠিটির একটি ছবি আমাদের মেসেঞ্জার গ্রুপে শেয়ার করেছিলাম। পরে অবশ্য সেটি ডিলিট করে দিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ ডাউনলোড করে ফেলেছিল। এবং ফেসবুকে দিয়েছেন।তারা দুঃখের জবাব লিখেছেন।আগামী কার্যদিবসে জমা দেবেন।

তবে চিঠি পাঠানো ব্যাংক কর্মকর্তা স্বপন সিকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

10 টার মধ্যে বিছানায় যেতে চিঠি, 2 ব্যাংক কর্মকর্তাদের সমবেদনা

আপডেট সময় ০৪:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় রূপালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে রাত ১০টার মধ্যে ঘুমাতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি চিঠি ছড়িয়ে পড়েছে। সকাল ৯টার মধ্যে তাকে কর্মস্থলে পৌঁছানোর সুবিধার্থে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

কিন্তু শাখা ব্যবস্থাপক জানান, তিনি চিঠি দেননি। তা ছাড়া চিঠিতে ব্যবহৃত স্বাক্ষরটি তার নয়। সহকর্মীরা মজা করার জন্য এটি করেছে।

গতকাল কাশিয়ানী উপজেলার জয়নগর শাখার ব্যবস্থাপক মো. মফিজুর রহমান নামে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামকে ওই চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিটি পাঠিয়েছেন শহিদুল ইসলামের সহকর্মী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্বপন সিকদার। তারা দুজনেই হতবাক হয়ে যান কারণ চিঠিতে ব্যাঙ্কের সিল এবং ম্যানেজারের নাম ব্যবহার করা হয়েছিল যা একটি রসিকতা হিসাবে পাঠানো হয়েছিল। তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মফিজুর রহমানBD OPEN NEWS

কে বলেন, ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শহিদুলকে তামাশা হিসেবে চিঠিটি পাঠিয়েছেন। তারা দুই ব্যাচমেট এবং ব্যাংকের পাশে একই বাড়িতে থাকেন। নতুন কর্মকর্তা হওয়ায় তারা জেনেশুনে এসব করেননি। তারা চিঠি লিখে নিজেদের মেসেঞ্জার গ্রুপে দিয়েছে। সেখান থেকে চিঠিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

মফিজুর রহমান আরও বলেন, ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপকরা গোল সিল ব্যবহার করেন না। তা ছাড়া স্বাক্ষরটি তার নয়। ব্যাংকের সিল ব্যবহার ও শাখা ব্যবস্থাপকের উদ্ধৃতি লেখায় শহিদুল ও স্বপনকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রেরিত চিঠিতে রসিকতা করে বলা হয়েছে, “উপরের বিষয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মেমো নম্বর DOS-31 অনুযায়ী, জনাব মোঃ শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র অফিসার, এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, আপনার সুবিধার্থে আপনাকে রাত ১০টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকিং কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সকাল ৯টায় কর্মস্থলে উপস্থিতি।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম ফোনেBD OPEN NEWS

বলেন, “আমার বন্ধু এবং ব্যাচমেট আমাকে কৌতুক হিসেবে চিঠিটি দিয়েছিল। কৌতূহলবশত আমি চিঠিটির একটি ছবি আমাদের মেসেঞ্জার গ্রুপে শেয়ার করেছিলাম। পরে অবশ্য সেটি ডিলিট করে দিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ ডাউনলোড করে ফেলেছিল। এবং ফেসবুকে দিয়েছেন।তারা দুঃখের জবাব লিখেছেন।আগামী কার্যদিবসে জমা দেবেন।

তবে চিঠি পাঠানো ব্যাংক কর্মকর্তা স্বপন সিকদারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।