০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

অগ্রগতি থাকলেও ‘কাজ’ অনেক বাকি

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • / ১৬৪১ বার পড়া হয়েছে

আবারও হতাশা দিয়েই শেষ হলো আরেকটি জলবায়ু সম্মেলন। আগামী নভেম্বরে মিসরে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৭) প্রস্তুতি গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে জার্মানির বনে। দুই সপ্তাহ ধরে চলা আলোচনা শেষ হলেও যথারীতি নতুন কিছু অর্জন করা যায়নি।

তবে জলবায়ু পরিবর্তজনিত ক্ষয়ক্ষতি, অভিযোজন এবং তাপমাত্রা কিভাবে ১.৫ ডিগ্রির নিচে রাখা যায় সে বিষয়ে আগামী কপে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে বেশ কিছু আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করেছে বন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।

অংশগ্রহণকারী পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এবারের বন জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে কৌশলগত অনেক অগ্রগতি হলেও মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।

স্পষ্টতই কপ-২৭-এ পড়ে থাকবে পাহাড় সমান কাজ। তবে তার আগে বেশ চাপ পড়বে মাত্র এক সপ্তাহ পর জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বের ধনী দেশগুলোর ক্লাব জি৭ সম্মেলনে। জি৭ সম্মেলনে আলোচনায় উঠে আসবে জলবায়ু অভিযোজন তহবিল, জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি।

কেনিয়াভিত্তিক থিংকট্যাংক পাওয়ার শিফট আফ্রিকার পরিচালক মোহাম্মদ আদোও কালের কণ্ঠকে বলেন, উন্নয়নশীল দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলো যে সময় জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ রূপ দেখছে, সেই একই সময় বন জলবায়ু সম্মেলনে ওই সব দেশ ও তাদের মানুষগুলোকে বঞ্চিত করা হলো। এটা লজ্জার যে ধনী দেশগুলো ক্ষয়ক্ষতি ও জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে না। ঐতিহাসিকভাবে বেশি দূষণকারী ধনী দেশগুলো আলোচনায়ই বসতে চাচ্ছে না।

গত ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সম্মেলন বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। আগামী নভেম্বরে মিসরে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (কপ-২৭) অনুষ্ঠিত হবে। বন জলবায়ু সম্মেলন প্রতিবছর একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য পরবর্তী সম্মেলনের মডেল তৈরি করা।

বন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করলেও তহবিল গঠনের বিষয়ে কী হবে তা স্পষ্ট করেননি। তবে আগামী সম্মেলনে তহবিল গঠনের বিষয়ে আলোচনার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রস্তাব দিয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের অনেকে মনে করেন, আগামী কপ সফল করতে হলে আরো অনেক কাজ করতে হবে। আগের প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে অগ্রগতি দেখাতে হবে।

মিসরের সম্মেলনের আগে আরো দুটি আঞ্চলিক জলবায়ু সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে। এর একটি ল্যাটিন আমেরিকান এবং ক্যারিবিয়ান জলবায়ু সপ্তাহ যা অনুষ্ঠিত হবে ডমিনিকান রিপাবলিকের সান্টো ডোমিঙ্গোতে। ১৮ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত এ সম্মেলন হবে। আর আফ্রিকান জলবায়ু হবে গ্যাবনের লিব্রেভিলে। ২৯ আগস্ট শুরু হয়ে ১ সেপ্টেম্বরে এ সম্মেলন শেষ হবে। দুই সম্মেলনে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬-এর মূল্যায়ন এবং আগামী সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতিসংঘ কাঠামো সম্মেলনের (ইউএনএফসিসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধিরা আগামী সম্মেলনে কী আলোচনা হবে সে বিষয়ে একমত হয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও বলা হয়, সম্মেলন সফল হয়েছে। তবে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে।

বন সম্মেলনে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের নির্বাহী সচিব প্যাট্রিসিয়া এস্পিনোসা বলেন, ‘যদিও অনেক কাজ বাকি, তার পরও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা প্রযুক্তিগত বিষয়ে অনেক অগ্রগতি দেখিয়েছেন। পরবর্তী সম্মেলনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বনের আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে পুরো বিশ্ব এগিয়ে চলছে। ক্ষয়ক্ষতিজনিত তহবিল সংগ্রহ করতে কপ-২৭-এ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতিগুলো প্রকৃতপক্ষে বাস্তবায়ন করতে হবে আগামী কপে আলোচনা করতে হবে। ’

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র তাপপ্রবাহ, বন্যা, ঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আর্থিক সহায়তাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাধান করতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করতে হবে। না হলে আগামী সম্মেলনে সফল হবে না।

বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা অবশ্য বৈশ্বিক রাজনীতি নিয়ে। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব রাজনীতিতে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে তা আগামী কপেও নেতিবাচক ভূমিকা ফেলতে পারে। অনেক ইস্যু অমীমাংসিত রেখে কপ সম্মেলন শেষ করতে হতে পারে। আগের সম্মেলনের চুক্তি বাস্তবায়নে কোন কোন দেশ পিছপাও হতে পারে বলে অংশগ্রহণকারীরা মনে করছেন।

তাঁরা আরো জানান, এবারের বন সম্মেলনে প্রতিনিধিরা এই প্রথম গ্লোবাল স্টকটেকের মতো প্রযুক্তি বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এর মাধ্যমে প্যারিস চুক্তি লক্ষ্য অর্জন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন আলোচনায় প্রতিনিধিরা আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

এ প্রসঙ্গে প্যাট্রিসিয়া এস্পিনোসা বলেন, ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ করেনি সহায়তাকারী দেশগুলো। অথচ তারাই তবহিল বাড়ানোর কথা বলছে।

বাংলাদেশের পক্ষে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, কয়েকটি বিষয়ে একমত হয়েছে দেশগুলো। তবে আগামী কপের আগে আরো অনেক কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে করণীয় নিয়ে আরো আলোচনা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অগ্রগতি থাকলেও ‘কাজ’ অনেক বাকি

আপডেট সময় ০৫:১৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

আবারও হতাশা দিয়েই শেষ হলো আরেকটি জলবায়ু সম্মেলন। আগামী নভেম্বরে মিসরে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৭) প্রস্তুতি গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে জার্মানির বনে। দুই সপ্তাহ ধরে চলা আলোচনা শেষ হলেও যথারীতি নতুন কিছু অর্জন করা যায়নি।

তবে জলবায়ু পরিবর্তজনিত ক্ষয়ক্ষতি, অভিযোজন এবং তাপমাত্রা কিভাবে ১.৫ ডিগ্রির নিচে রাখা যায় সে বিষয়ে আগামী কপে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে বেশ কিছু আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করেছে বন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।

অংশগ্রহণকারী পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এবারের বন জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে কৌশলগত অনেক অগ্রগতি হলেও মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।

স্পষ্টতই কপ-২৭-এ পড়ে থাকবে পাহাড় সমান কাজ। তবে তার আগে বেশ চাপ পড়বে মাত্র এক সপ্তাহ পর জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বের ধনী দেশগুলোর ক্লাব জি৭ সম্মেলনে। জি৭ সম্মেলনে আলোচনায় উঠে আসবে জলবায়ু অভিযোজন তহবিল, জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি।

কেনিয়াভিত্তিক থিংকট্যাংক পাওয়ার শিফট আফ্রিকার পরিচালক মোহাম্মদ আদোও কালের কণ্ঠকে বলেন, উন্নয়নশীল দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলো যে সময় জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ রূপ দেখছে, সেই একই সময় বন জলবায়ু সম্মেলনে ওই সব দেশ ও তাদের মানুষগুলোকে বঞ্চিত করা হলো। এটা লজ্জার যে ধনী দেশগুলো ক্ষয়ক্ষতি ও জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে না। ঐতিহাসিকভাবে বেশি দূষণকারী ধনী দেশগুলো আলোচনায়ই বসতে চাচ্ছে না।

গত ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সম্মেলন বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। আগামী নভেম্বরে মিসরে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (কপ-২৭) অনুষ্ঠিত হবে। বন জলবায়ু সম্মেলন প্রতিবছর একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। এর মূল উদ্দেশ্য পরবর্তী সম্মেলনের মডেল তৈরি করা।

বন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করলেও তহবিল গঠনের বিষয়ে কী হবে তা স্পষ্ট করেননি। তবে আগামী সম্মেলনে তহবিল গঠনের বিষয়ে আলোচনার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রস্তাব দিয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের অনেকে মনে করেন, আগামী কপ সফল করতে হলে আরো অনেক কাজ করতে হবে। আগের প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে অগ্রগতি দেখাতে হবে।

মিসরের সম্মেলনের আগে আরো দুটি আঞ্চলিক জলবায়ু সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে। এর একটি ল্যাটিন আমেরিকান এবং ক্যারিবিয়ান জলবায়ু সপ্তাহ যা অনুষ্ঠিত হবে ডমিনিকান রিপাবলিকের সান্টো ডোমিঙ্গোতে। ১৮ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত এ সম্মেলন হবে। আর আফ্রিকান জলবায়ু হবে গ্যাবনের লিব্রেভিলে। ২৯ আগস্ট শুরু হয়ে ১ সেপ্টেম্বরে এ সম্মেলন শেষ হবে। দুই সম্মেলনে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬-এর মূল্যায়ন এবং আগামী সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতিসংঘ কাঠামো সম্মেলনের (ইউএনএফসিসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বন সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধিরা আগামী সম্মেলনে কী আলোচনা হবে সে বিষয়ে একমত হয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে এ-ও বলা হয়, সম্মেলন সফল হয়েছে। তবে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে।

বন সম্মেলনে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের নির্বাহী সচিব প্যাট্রিসিয়া এস্পিনোসা বলেন, ‘যদিও অনেক কাজ বাকি, তার পরও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা প্রযুক্তিগত বিষয়ে অনেক অগ্রগতি দেখিয়েছেন। পরবর্তী সম্মেলনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বনের আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে পুরো বিশ্ব এগিয়ে চলছে। ক্ষয়ক্ষতিজনিত তহবিল সংগ্রহ করতে কপ-২৭-এ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্যারিস চুক্তির প্রতিশ্রুতিগুলো প্রকৃতপক্ষে বাস্তবায়ন করতে হবে আগামী কপে আলোচনা করতে হবে। ’

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র তাপপ্রবাহ, বন্যা, ঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আর্থিক সহায়তাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাধান করতে হবে। কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করতে হবে। না হলে আগামী সম্মেলনে সফল হবে না।

বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা অবশ্য বৈশ্বিক রাজনীতি নিয়ে। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব রাজনীতিতে যে বিভাজন তৈরি হয়েছে তা আগামী কপেও নেতিবাচক ভূমিকা ফেলতে পারে। অনেক ইস্যু অমীমাংসিত রেখে কপ সম্মেলন শেষ করতে হতে পারে। আগের সম্মেলনের চুক্তি বাস্তবায়নে কোন কোন দেশ পিছপাও হতে পারে বলে অংশগ্রহণকারীরা মনে করছেন।

তাঁরা আরো জানান, এবারের বন সম্মেলনে প্রতিনিধিরা এই প্রথম গ্লোবাল স্টকটেকের মতো প্রযুক্তি বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এর মাধ্যমে প্যারিস চুক্তি লক্ষ্য অর্জন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন আলোচনায় প্রতিনিধিরা আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

এ প্রসঙ্গে প্যাট্রিসিয়া এস্পিনোসা বলেন, ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ করেনি সহায়তাকারী দেশগুলো। অথচ তারাই তবহিল বাড়ানোর কথা বলছে।

বাংলাদেশের পক্ষে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, কয়েকটি বিষয়ে একমত হয়েছে দেশগুলো। তবে আগামী কপের আগে আরো অনেক কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে করণীয় নিয়ে আরো আলোচনা হবে।