০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আদালতে পিকে হালদারের দুই মেয়ের সহযোগী, শর্তসাপেক্ষে মুক্তির নির্দেশ

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৪১৫ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএসএল), প্রশান্ত কুমার হালদারের অন্যতম সহযোগী, পিকে হালদার নামে পরিচিত, ব্যাঙ্ক ও আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত, সাবেক পরিচালক। বুধবার খবির উদ্দিনের দুই মেয়েকে হাইকোর্টে হাজির করে র‌্যাব। আদালত তাদের র‌্যাব হেফাজতে পাঠিয়েছে। পরে শর্ত সাপেক্ষে তাদের ছেড়ে দিতে বলা হয়।

বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ও শ্যামলী থেকে মো. খবির উদ্দিনের দুই মেয়ে শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদকে আটক করেছে র‌্যাব-৩। বিকেলে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে (কোম্পানি আদালত) তাদের হাজির করা হয়। তাদের আইনজীবীরা ওই দুই তরুণীর পাসপোর্ট আদালতে জমা দেন। আদালত তাকে তার পরিবারের ১১ সদস্যের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিতে বলেছে।

গত ৭ মার্চ একই বেঞ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিংয়ের ঋণখেলাপি ৬৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে তলব করেন। তারা হাজির না হলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেও জানান আদালত। সেই তালিকায় ছিলেন শারমিন ও তানিয়া। তাদেরসহ ৩০ জনকে হাজির না করায় আদালত তাদের ১৯ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

শারমিন ও তানিয়ার আইনজীবী মো. আবু তালেব BD OPEN NEWS

বলেন, দুই বোনের পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। খবির উদ্দিনের পরিবারের ১১ সদস্যের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেওয়া সাপেক্ষে দুই বোনকে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। আপাতত তাদের র‌্যাব হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পিএলএফএসএল খবির উদ্দিনের পরিবারের ১১ সদস্যের কাছ থেকে ১৯৬ কোটি টাকা পাবে। এ ঋণের ৫ শতাংশ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিয়ে ১১ জনকে আদালতে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আইনজীবী মেজবাহুর রহমান প্রথম আলো</em>কে বলেন, গ্রেফতারকৃত দুজনের পাসপোর্ট র‌্যাবের হেফাজতে রাখা হয়েছে। খবির উদ্দিনের পরিবারের বাকি সদস্যদের পাসপোর্ট র‌্যাবের কাছে জমা দেওয়া সাপেক্ষে তাদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। খবির উদ্দিনের পরিবারের ১১ সদস্যের মধ্যে যাদের পাসপোর্ট নেই, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র-ঠিকানা আইনজীবীর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিকে হালদারের অন্যতম সহযোগী খবির উদ্দিন পিএলএফএসএলের প্রতিষ্ঠা থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরিচালক ছিলেন। ওই সময় তিনি পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে ও বেনামে ঋণ নিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। . পরবর্তীতে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক আত্মসাতের অভিযোগে তাকে এই পদ থেকে অপসারণ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুই নারী বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা তাদের বাবা খবির উদ্দিনের মাধ্যমে ঋণ নিয়েছে। শারমিন ও তানিয়া প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে কানাডায় রয়েছেন।

র‌্যাব জানায়, এর মধ্যে শারমিন ৩১ কোটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা পিপলস লিজিং থেকে ঋণ নিয়েছে। তারা ২৮ জুলাই বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় এবং বুধবার কানাডা যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।

গত মে মাসে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কর্তৃক পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে পিকে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আদালতে পিকে হালদারের দুই মেয়ের সহযোগী, শর্তসাপেক্ষে মুক্তির নির্দেশ

আপডেট সময় ০৫:৫৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএসএল), প্রশান্ত কুমার হালদারের অন্যতম সহযোগী, পিকে হালদার নামে পরিচিত, ব্যাঙ্ক ও আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত, সাবেক পরিচালক। বুধবার খবির উদ্দিনের দুই মেয়েকে হাইকোর্টে হাজির করে র‌্যাব। আদালত তাদের র‌্যাব হেফাজতে পাঠিয়েছে। পরে শর্ত সাপেক্ষে তাদের ছেড়ে দিতে বলা হয়।

বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ও শ্যামলী থেকে মো. খবির উদ্দিনের দুই মেয়ে শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদকে আটক করেছে র‌্যাব-৩। বিকেলে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে (কোম্পানি আদালত) তাদের হাজির করা হয়। তাদের আইনজীবীরা ওই দুই তরুণীর পাসপোর্ট আদালতে জমা দেন। আদালত তাকে তার পরিবারের ১১ সদস্যের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিতে বলেছে।

গত ৭ মার্চ একই বেঞ্চ আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিংয়ের ঋণখেলাপি ৬৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে তলব করেন। তারা হাজির না হলে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেও জানান আদালত। সেই তালিকায় ছিলেন শারমিন ও তানিয়া। তাদেরসহ ৩০ জনকে হাজির না করায় আদালত তাদের ১৯ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।

শারমিন ও তানিয়ার আইনজীবী মো. আবু তালেব BD OPEN NEWS

বলেন, দুই বোনের পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। খবির উদ্দিনের পরিবারের ১১ সদস্যের পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেওয়া সাপেক্ষে দুই বোনকে ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। আপাতত তাদের র‌্যাব হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পিএলএফএসএল খবির উদ্দিনের পরিবারের ১১ সদস্যের কাছ থেকে ১৯৬ কোটি টাকা পাবে। এ ঋণের ৫ শতাংশ ৩০ দিনের মধ্যে জমা দিয়ে ১১ জনকে আদালতে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আইনজীবী মেজবাহুর রহমান প্রথম আলো</em>কে বলেন, গ্রেফতারকৃত দুজনের পাসপোর্ট র‌্যাবের হেফাজতে রাখা হয়েছে। খবির উদ্দিনের পরিবারের বাকি সদস্যদের পাসপোর্ট র‌্যাবের কাছে জমা দেওয়া সাপেক্ষে তাদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। খবির উদ্দিনের পরিবারের ১১ সদস্যের মধ্যে যাদের পাসপোর্ট নেই, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র-ঠিকানা আইনজীবীর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পিকে হালদারের অন্যতম সহযোগী খবির উদ্দিন পিএলএফএসএলের প্রতিষ্ঠা থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরিচালক ছিলেন। ওই সময় তিনি পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে ও বেনামে ঋণ নিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। . পরবর্তীতে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক আত্মসাতের অভিযোগে তাকে এই পদ থেকে অপসারণ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুই নারী বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য দিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা তাদের বাবা খবির উদ্দিনের মাধ্যমে ঋণ নিয়েছে। শারমিন ও তানিয়া প্রায় দেড় শতাব্দী ধরে কানাডায় রয়েছেন।

র‌্যাব জানায়, এর মধ্যে শারমিন ৩১ কোটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা পিপলস লিজিং থেকে ঋণ নিয়েছে। তারা ২৮ জুলাই বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় এবং বুধবার কানাডা যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।

গত মে মাসে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কর্তৃক পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে পিকে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।