কালাম পড়ে বাবাকে বিদায় জানান মবিনুল
- আপডেট সময় ০৪:৩১:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২
- / ১৩০৮ বার পড়া হয়েছে
সীতাকুণ্ডের একটি কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর সীতাকুণ্ডের তরুণসিটি পুলিশি মবিনুল তার বাবাকে ফোন করেন। তিনি বলেন, একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে। পরে তিনি তার বাবাকে ক্ষমা করতে বলেছিলেন, বিস্ফোরণে তিনি একটি পা হারিয়েছিলেন। এই কথোপকথনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে মবিনুল ও তার পরিবারের স্বপ্নযাত্রা।
রাতের ছেলের কাছ থেকে খবর পেয়ে চিন্তিত হয়েছে পড়েন মবিনুলের বাবা ফরিদুল আলম। রাত বাঁশখালী ছেড়ে শান্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না তিনি তার ভাতিজা ফরহাদ ছেলে সহ স্বজনদের খবর পেয়ে চেষ্টা করুন। শনিবার রাত তারা শহরের রাস্তার প্রান্তে এসেছেন মবিনু লাশ শনাক্ত করেছেন। সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিজেদের মধ্যে মবিনুলের মরদেহই প্রথম শনাক্ত করা হয়।
এই সম্পর্কে আরও পড়ুন:
রাত ১০-এর মধ্যে আগুন জ্বলে বলে আশার কথা
‘পুড়ে পরে, মরছি বলতে গিয়ে মারা মারান মহে’!
ভিডিও কলে কথা বলার সময় বিফোরণ, সংযোগ বিচিন্ন করেন সোবহান
ফেসবুকে লাইফ পোস্টে ছিল, গ্রুপভ ডিপোট
‘বাবা বড় ডিপোতে কেন দীর্ঘন’
ফরিদুল আলমকে তার শরীরের অপেক্ষা করতে হয়, ছেলে নয়, কখন দেখা যায়। মবিনুর লাশ এখনো মর্গে পড়ে আছে। স্বজনরা অপেক্ষা করছে।
মর্গের কাটা চাচাতো ভাই ফরহাদ বলেন, “মবিন তার বাবাকে ফোন করে উড়ে যেতে পারে। খবর পেয়ে আমরা দেখতে দেখতে দেখতে আমার ভাই মারা গেছে।’
রব উত্তর দিহারা হয়ে ফরিদুল আলম বলেন, আমার জন্য সব শেষ! তখন সে তার বাবাকে যেভাবে এখানেও বিস্ফোরণ করা হয়েছে। শেষবার ফোন করে বলেছে, ‘বাবা, আমার একটা পা উড়ে গেছে। কালাম পাঠের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। ‘
মবিনুল সাম্প্রতিক চট্টগ্রামের মহসিন থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করেছেন। তার বিএম ডিপোতে চাকরি তাদের বাড়ি বাঁশখালীর ছনুয়ায়। চাকরির পর আলোচনা চলছিল।
মবিনের অন্য চাচাতো ভাই তায়েবও বিএম ডিপোতে অফিস করেন। তিনি জানান, মবিনআইসিটি ডিসটারে কাজ করতে। আগুন দেখতে গিয়ে তার সতর্কবার্তা।
শনিবার রাত সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে জিট ৪৯ জন শক্তিশালী বলে নেটওয়ার্ক সিটির সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন। এ ভালো পছন্দ জনতা শতাধিক মানুষ।