বাংলাদেশের পরিকল্পনা শ্রীলঙ্কা জানে
- আপডেট সময় ১০:১৫:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫৭০ বার পড়া হয়েছে
হারানোর উপায় আছে। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কা যেভাবে হেরেছে তা নিছকই ফ্লুক।
ইনিংসের শুরু থেকেই উন্মাদনায় থাকা শ্রীলঙ্কা শেষ উইকেট জুটির সুবাদে তিন অঙ্কে পৌঁছে যায়। দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স হলেও ব্যাটিংয়ের দিক থেকে আফগানরা নিজেদেরকে ছাড়িয়ে গেছে। পাওয়ার প্লেতে ৮০ রান করে ম্যাচ শেষ করেন দুই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত জয় আসে ৮ উইকেট হাতে, ৫৯ বল বাকি থাকতে। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে এবারের এশিয়া কাপের প্রথম পর্ব। গ্রুপের ৩টি দল একে অপরের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলবে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল সুপার ফোরে উঠবে। বড় ব্যবধানে হেরে রান রেটের দিক থেকে সুপার ফোরের দৌড়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার পরবর্তী ম্যাচ তাই জীবন-মরণ যুদ্ধ। বাংলাদেশের বিপক্ষে টিকে থাকার লড়াইয়ের আগে কোণঠাসা না হয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন শানাকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে লঙ্কানদের হয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সাহস পাচ্ছেন শানাকা, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলেছি। বাংলাদেশের পরিকল্পনা আমরা জানি। সব খেলোয়াড় সম্পর্কে তাদের ধারণা আছে। এটা পরের ম্যাচে বড় ভূমিকা রাখবে। এই যুগে প্রতিটি দলই প্রতিপক্ষ সম্পর্কে জানে, যদি না প্রতিপক্ষ একটি ছোট দল হয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।
শ্রীলঙ্কা যদি বাংলাদেশ দলের কথা জানে, বাংলাদেশও জানে শ্রীলঙ্কার কথা। তাহলে দাসুন শানাকার আত্মবিশ্বাসের উৎস কী? উৎস আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের বোলিংয়ের তুলনামূলক শক্তির বিচার।
বর্তমানে বোলারদের টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে বাংলাদেশের কোনো বোলার নেই। দেশের বাইরে বোলারদের খারাপ পারফরম্যান্সও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম আলোচিত বিষয়। সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কা অধিনায়কও প্রসঙ্গ তুলেছেন, ‘আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ বিশ্বমানের। আমরা যদি বাংলাদেশের কথা বলি, আমরা জানি ফিজ (মোস্তাফিজ) খুব ভালো বোলার, সাকিবও বিশ্বমানের। এ ছাড়া তাদের আর কোনো বিশ্বমানের বোলার নেই। আফগানিস্তানের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটা সহজ হবে। শানাকার দাবির কারণ বোধগম্য। আফগানিস্তানের স্পিনাররা সবসময়ই ভালো। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুধু স্পিনাররাই নয়, বিধ্বংসী ফর্মে হাজির হয়েছেন পেসাররাও। ফজল হক ফারুকী ও নবীন উল হকের প্রথম দুই ওভারে ৫ রানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টিতে এত কম রানে শ্রীলঙ্কা কখনো ৩ উইকেট হারায়নি। তারা এই প্রাথমিক ধাক্কা সামলাতে পারেননি। অবশেষে, শানাকা-ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা 2 বল বাকি থাকতে 105 রানে গুটিয়ে যায়। রান কম হতে পারত। আফগান বোলাররা ৭৫ রানে শ্রীলঙ্কার ৯ উইকেট নেন। দলের ব্যাটসম্যানদেরও টেবিলে বসিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক। আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ম্যাচ। এর আগে আগামী মঙ্গলবার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে আফগানিস্তান জিতলে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ‘প্লে-অফে’ রূপ নেবে। হেরে গেলে বিদায়।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতলেও শ্রীলঙ্কার কাজটা সহজ হবে না। তাহলে বাংলাদেশকে শুধু হারতেই হবে না, হারতে হবে বড় ব্যবধানে। নেট রান রেটের অবস্থা করুণ!