রওশন এরশাদ আবারও ব্যাংকে গেলেন, বহিষ্কৃতদের উদ্যোগ ভেস্তে গেল
- আপডেট সময় ০৫:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জুলাই ২০২২
- / ১০২৯ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গেছেন। তিনি এখনো সুস্থ হননি।
প্রায় আট মাস ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার পর গত ২৬ জুন দেশে আসেন রওশন এরশাদ। আট দিন পর মঙ্গলবার বিকেলে তিনি আবার হাসপাতালে যান।
জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত কারণে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন রওশন এরশাদ। জাতীয় পরিষদের বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে কয়েকদিনের জন্য দেশে ফিরেছেন রওশন এরশাদ। বিচ্যুত হয়ে জাপা থেকে বহিষ্কৃত কয়েকজন নেতা তাকে দেশে আনার উদ্যোগ নেন। তাদের কেউ কেউ বিদিশা সিদ্দিকীর কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।
জাপার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, তাদের উদ্দেশ্য ছিল রওশন এরশাদকে ব্যবহার করে দলের শীর্ষ নেতা জিএম কাদেরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করা। কিন্তু ২ জুলাই রওশন এরশাদের বৈঠকে নেতারা না আসায় তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
রওশন এরশাদ থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় গুলশানে নিজ বাসায় না গিয়ে সোজা ওই এলাকার একটি হোটেলে যান। সেখান থেকে গত ২৯ জুন হুইল চেয়ারে সংসদে যোগ দেন। এরপর গত ২ জুলাই একই হোটেলে দলের ব্যানারে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন রওশন এরশাদ। তবে জাপার চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতা বৈঠকে যোগ দেননি।
বৈঠকে উপস্থিত জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবুল্লাহ বেলালী দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ভুল তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদের মধ্যে রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে জাপার। সভাপতিমণ্ডলী থেকে বাদ পড়েছেন এম এ সাত্তার ও দেলোয়ার হোসেন খান। কাজী মামুনুর রশীদ, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, মোস্তাকুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। কাজী মামুনুর রশীদসহ তাদের কেউ কেউ ‘জাতীয় পার্টি’ নাম ব্যবহার করে বিদিশা সিদ্দিকীর কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
জানা গেছে, বহিষ্কৃত এক নেতা রওশনের দেশে আসা-যাওয়ার সব ব্যবস্থা করেছিলেন। ৫ জুলাই রওশন এরশাদ ব্যাংকে ফিরে আসেন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হকসহ সিনিয়র নেতারা।
জিএম কাদের বিডি ওপেন নিউজ
, ‘তিনি আমাদের প্রাচীনতম নেতা। দেশে ফেরার পর আমরা বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে বিদায় জানাই। তার সামনে যারা সভা করার চেষ্টা করেছে তাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। দল সম্পর্কে তাদের কিছু বলার ক্ষমতা নেই। ‘