রিজার্ভ 4,000 কোটি ডলার
- আপডেট সময় ০৫:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২
- / ১২৭৫ বার পড়া হয়েছে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখনো ভালো বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন রিজার্ভ চার হাজার বিলিয়ন ডলার।
বুধবার কার্যত অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগে কখনো ৪ হাজার মিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ ছিল না। আমাদের সরকারের রিজার্ভ তিন মাসে 700 কোটি থেকে 1000 কোটিতে বেড়েছে। সেখান থেকে বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮০০ বিলিয়ন ডলারে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলেও মনে করেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশের রিজার্ভ অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে আইএমএফের। প্রকৃত রিজার্ভ অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যের চেয়েও কম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আইএমএফের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, অন্যান্য দেশ যেমন করে বাংলাদেশ একইভাবে রিজার্ভের হিসাব করছে এবং একইভাবে করবে।
আইএমএফ থেকে বাজেট সাপোর্ট হিসেবে ৩ বছরের জন্য ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি কয়েকদিনের মধ্যে আইএমএফকে পাঠানো হবে।
মুদ্রাস্ফীতির কথাও বলেছেন অর্থমন্ত্রী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গতকাল মঙ্গলবার পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে জানিয়েছে, জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এই হার গত 9 বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সাংবাদিকরা মূল্যস্ফীতির হারকে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করছেন বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মাসের ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হিসাব করা হচ্ছে। তবে এটি হবে এক বছরের গড় মূল্যস্ফীতি। এখন গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। আমরা এক মাসে 7.56 শতাংশে আতঙ্কিত হয়েছি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সময় মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যা বলেন, আরও সত্য কথা বলা উচিত। মুদ্রাস্ফীতি কখনও দৈনিক ভিত্তিতে হয় না, এমনকি সাপ্তাহিক ভিত্তিতেও নয়। মুদ্রাস্ফীতি মানে বছরের গড় মূল্যস্ফীতি।’