০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার অভিযোগে ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৪৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২
  • / ১২৪০ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজী সালাহ উদ্দিন।

চার্জশিটে ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে আরও ১৪ জন পলাতক রয়েছে। আসামিরা সবাই রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় ২৯ জন রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আসামিদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। গ্রেফতারকৃত ১৫ আসামির মধ্যে সাত রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলায় ৩৬ জন সাক্ষী রয়েছেন।

আরও পড়ুন

 2021 সালের 29 সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লাম্বাশিয়া শেল্টারের ডি ব্লকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর অফিসে 48 বছর বয়সী রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন। , পুলিশ বলেছে। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি বা আরসার (আল-ইয়াকিন নামেও পরিচিত) এই হামলার সঙ্গে যুক্ত।

পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সোমবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।

মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় সর্বোচ্চ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ১৪তম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক প্রথম আলো</em>কে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মুহিবুল্লাহ কিলিং স্কোয়াডের তিনজন সদস্য রয়েছেন। কিলিং স্কোয়াডের অন্যতম সদস্য আজিজুল হক হত্যার কথা স্বীকার করে কক্সবাজার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আরও বেশ কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ঘটনার পর থেকে মিয়ানমারে লুকিয়ে আছে, যার ফলে তাদের গ্রেপ্তার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এপিবিএন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা মুহিবুল্লাহর পরিবারের নয় সদস্যসহ ছয় রোহিঙ্গা পরিবারের ৩১ জন সদস্যকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় এক মাস আগে, মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা ইউএনএইচসিআর পরিচালিত একটি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে কানাডায় চলে যায়। বাদী হাবিবুল্লাহও কানাডা চলে যেতে চেয়েছিলেন। তবে মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার তদন্ত ব্যাহত হতে পারে ভেবে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাবিবুল্লাহ শেল্টারে এপিবিএনের হেফাজতে রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যার অভিযোগে ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে

আপডেট সময় ০৯:৪৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। সোমবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজী সালাহ উদ্দিন।

চার্জশিটে ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে আরও ১৪ জন পলাতক রয়েছে। আসামিরা সবাই রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় ২৯ জন রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে আসামিদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। গ্রেফতারকৃত ১৫ আসামির মধ্যে সাত রোহিঙ্গা বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলায় ৩৬ জন সাক্ষী রয়েছেন।

আরও পড়ুন

 2021 সালের 29 সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লাম্বাশিয়া শেল্টারের ডি ব্লকে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর অফিসে 48 বছর বয়সী রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন। , পুলিশ বলেছে। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি বা আরসার (আল-ইয়াকিন নামেও পরিচিত) এই হামলার সঙ্গে যুক্ত।

পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করেন উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে সোমবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি।

মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় সর্বোচ্চ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে ১৪তম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক প্রথম আলো</em>কে বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মুহিবুল্লাহ কিলিং স্কোয়াডের তিনজন সদস্য রয়েছেন। কিলিং স্কোয়াডের অন্যতম সদস্য আজিজুল হক হত্যার কথা স্বীকার করে কক্সবাজার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মুহিবুল্লাহর হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আরও বেশ কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ঘটনার পর থেকে মিয়ানমারে লুকিয়ে আছে, যার ফলে তাদের গ্রেপ্তার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এপিবিএন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকা মুহিবুল্লাহর পরিবারের নয় সদস্যসহ ছয় রোহিঙ্গা পরিবারের ৩১ জন সদস্যকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় এক মাস আগে, মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা ইউএনএইচসিআর পরিচালিত একটি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে কানাডায় চলে যায়। বাদী হাবিবুল্লাহও কানাডা চলে যেতে চেয়েছিলেন। তবে মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার তদন্ত ব্যাহত হতে পারে ভেবে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাবিবুল্লাহ শেল্টারে এপিবিএনের হেফাজতে রয়েছেন।