০৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সম্রাটের জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করেছে দুদক

নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৩৪৫ বার পড়া হয়েছে

bdopennews

করেছেন। দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আরেকটি মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হতে পারে বিচারপতি মো.

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান BD OPEN NEWS

বলেন, হাইকোর্টে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন আবেদন করা হয়েছে। এর আগে সোমবার সকালে আদালত থেকে অনুমতি নেওয়া হয়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সাবেক নেতা সম্রাট গত সোমবার রাতে জামিনে মুক্তি পান। অসুস্থতার কারণে কারাগারে না থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হাসপাতালের কারাগারে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। জামিন পাওয়ার পর তিনি তিন দিন হাসপাতালে ছিলেন। গত শুক্রবার হাসপাতাল থেকে প্রথমে শান্তিনগরে মায়ের বাড়িতে যান সম্রাট। সেখান থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।

অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে সম্রাট 2019 সালের সেপ্টেম্বরে আত্মগোপন করেন। সে সময় রাজধানী ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচালিত অভিযান আওয়ামী লীগের ‘শুদ্ধি অভিযান’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার হন সম্রাট। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মানি লন্ডারিং, অস্ত্র আইন এবং অপ্রকাশিত সম্পদের অভিযোগে মামলা করা হয়। এরই মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মানি লন্ডারিং ও অস্ত্র আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। গত সোমবার জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন পেয়ে রাতেই মুক্তি পান তিনি। গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত সম্রাট ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। যুবলীগের রাজনীতিতে তাকে একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাবের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক ওরফে আরমানকে গত ৬ অক্টোবর ২০১৯ কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই অভিযানে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জনকে আটক করা হয়।

সম্রাটের চারটি মামলার কোনোটিরই বিচার হয়নি। তবে তিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে চার্জশিট দাখিল

নিউজটি শেয়ার করুন

সম্রাটের জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করেছে দুদক

আপডেট সময় ০৯:১৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

করেছেন। দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আরেকটি মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হতে পারে বিচারপতি মো.

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান BD OPEN NEWS

বলেন, হাইকোর্টে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন আবেদন করা হয়েছে। এর আগে সোমবার সকালে আদালত থেকে অনুমতি নেওয়া হয়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সাবেক নেতা সম্রাট গত সোমবার রাতে জামিনে মুক্তি পান। অসুস্থতার কারণে কারাগারে না থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হাসপাতালের কারাগারে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। জামিন পাওয়ার পর তিনি তিন দিন হাসপাতালে ছিলেন। গত শুক্রবার হাসপাতাল থেকে প্রথমে শান্তিনগরে মায়ের বাড়িতে যান সম্রাট। সেখান থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।

অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে সম্রাট 2019 সালের সেপ্টেম্বরে আত্মগোপন করেন। সে সময় রাজধানী ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচালিত অভিযান আওয়ামী লীগের ‘শুদ্ধি অভিযান’ নামে পরিচিত ছিল। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার হন সম্রাট। এরপর তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মানি লন্ডারিং, অস্ত্র আইন এবং অপ্রকাশিত সম্পদের অভিযোগে মামলা করা হয়। এরই মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, মানি লন্ডারিং ও অস্ত্র আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। গত সোমবার জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জনের মামলায় জামিন পেয়ে রাতেই মুক্তি পান তিনি। গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত সম্রাট ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। যুবলীগের রাজনীতিতে তাকে একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাবের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক ওরফে আরমানকে গত ৬ অক্টোবর ২০১৯ কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই অভিযানে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জনকে আটক করা হয়।

সম্রাটের চারটি মামলার কোনোটিরই বিচার হয়নি। তবে তিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে চার্জশিট দাখিল